দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জুলাই আন্দোলনে শহীদ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম উদ্দিনের মেয়ে (১৭) লামিয়াকে তার বাবার কবরের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে।  

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে সন্ধ্যায় পাংঙ্গাশিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীতে বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় সে। এ ঘটনায় নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর থেকে মানসিক যন্ত্রণা ও সামাজিক লজ্জার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সে। বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ হয়ে অবশেষে আত্মহননের পথ বেছে নেয় বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
ধর্ষণ মামলার দুই আসামি বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা কারাগারে আটক রয়েছে। ঘটনাটি সারাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

শনিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার শেখেরটেকের ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দেয় লামিয়া। পরে তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন লামিয়ার বাবা জসিম উদ্দিন। পরে ১ আগস্ট শহীদ হন।