শচিনের অভাব অনুভূত হবে না!
দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ একটু উল্টো পথেই হাঁটতে পছন্দ করেন। সবাই শচিনের অভাব অপূরণীয় বললেও মিয়াঁদাদ মনে করেন ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরে শচীন টেন্ডুলকারের অভাব খুব বেশীদিন অনুভূত হবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মুম্বাইতে বৃহস্পতিবার থেকে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় টেস্টের পরে শচিন তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন।
মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট যখন নতুন প্রতিভা খুঁজে পাবে; তখনই শচিনের স্মৃতি ধীরে ধীরে ভক্তদের মন থেকে ম্লান হয়ে যাবে।’
মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘এই অঞ্চলের ক্রিকেট ভক্তদের প্রকৃতিটাই এমন যে একজন খেলোয়াড় যদি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বেশ দীর্ঘ করে ফেলে তবে তার অবসরের পরপরই তার স্মৃতি সবাই ভুলে যেতে থাকে।’
মিয়াঁদাদ নিজে স্বীকার করেছেন তার ক্যারিয়ার দীর্ঘ করার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। আর তাই তার বিদায়টা ভালো হয়নি। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘অনেকের সঙ্গে আমার মত হয়ত এক নাও হতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি শচিনের আরো আগেই বিদায় নেয়া উচিত ছিল। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পরপরই তার অবসরে যাওয়া উচিত ছিল। এমন এক মুহুর্তে সে জাতীয় দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে; যখন ভারত বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটারকে খুঁজে পেয়েছে। যারা এখন দলের মূল ভরসা এবং অনেকেই ইতোমধ্যেই আদর্শ খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন।’
শচিনের অবদানের কথা স্বীকার করেই তার প্রতি সকলের যে শ্রদ্ধাবোধ তা অবশ্যই তার প্রাপ্য বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ এই সাবেক ব্যাটসম্যান। বলেছেন, ‘আধুনিক যুগে মাস্টার ব্যাটসম্যানদের তালিকায় শচিন যে অন্যতম একটি প্রধান স্থান দখল করে থাকবেন এতেও কোনো সন্দেহ নেই। তার মতে প্রতিটি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে শচিন একজনব রোল মডেল হিসেবেই চিরদিন থাকবেন।’
১৯৮৯ সালে করাচিতে শচিনের টেস্ট অভিষেক খুব কাছে থেকে দেখেছেন মিয়াঁদাদ। ওই বয়সেই সে সকলকে তার ব্যাটিং প্রতিভা দিয়ে বিস্মিত করেছিলেন এবং সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘এই উপমহাদেশে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়রা নিজেদের অবসরের সিদ্ধান্তটি নিয়ে প্রায়ই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। তারা সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেননা। অতীতে অনেক বড় বড় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও এটা ঘটেছে। এক্ষেত্রে অসম্ভব প্রতিভাবান একটি নতুন প্রজন্ম পাওয়াতে ভারত বেশ সৌভাগ্যবান বলেই দাবি করেছেন মিয়াঁদাদ। আর সে কারণেই শচিনের অনুপস্থিতিও খুব বেশীদিন অনুভূত হবে না। সূত্র : এএফপি।
(দিরিপোর্ট/এএস/সিজি/নভেম্বর ১৩, ২০১৩)