দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা। রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অবশ্য এ প্রসঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।

এক প্রতক্ষ্যদর্শী জানায়, মুক্তাঙ্গনে বুধবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এরপর এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা সেখানে ১০/১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। মাত্র একটি ককটেল বিস্ফোরণের জবাবে লক্ষ্যহীনভাবে এই গুলিবর্ষণ করা হয়। এর কারণ জানতে চাইলে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বলেন, ‘গুলি করা ছাড়া পুলিশের কি করার আছে? ককটেল বিস্ফোরণকারীদের মূল লক্ষ্য এখন পুলিশ। বহুতল ভবনের ছাদ ও বিভিন্ন যানবাহন থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে হাত বোমা ছোঁড়া হয়। আর পুলিশও জীবন রক্ষা এবং আতঙ্ক থেকেই গুলি ছুঁড়ছে।’

এ প্রসঙ্গে একাধিক প্রতক্ষ্যদর্শী জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আধাঘন্টার ব্যবধানে আদাবর থানার সামনে ৭টি ও মহাখালী পুলিশ বক্স লক্ষ্য করে ২টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এর কিছু সময় পরে কাকরাইল মোড়ে ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছোঁড়া হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আত্মরক্ষা করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য জানায়, হামলা থেকে রক্ষার জন্য যে নিরাপত্তামূলক সরঞ্জাম তাও তাদের কাছে অপ্রতুল।

মাঠ পর্যায়ের পুলিশ আতঙ্কগ্রস্ত নয় দাবি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন উর রশিদ বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দেওয়া। দেশের সহিংসতা বা নাশকতা প্রতিরোধ করার জন্যই আমরা পুলিশে যোগদান করেছি।’

(দিরিপোর্ট২৪/কেজেএন/এইচএস/এমডি/নভেম্বর ১৩, ২০১৩)