দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইরান যদি শান্তিপূর্ণ আচরণ করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করে, তবে তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেছেন, লক্ষ্য অর্জনে কঠোর বা নেতিবাচক হওয়ার চেয়ে সদয় এবং শান্তিপূর্ণ হওয়া বেশি কার্যকর। একইসঙ্গে মার্কিন হামলার আগে ইরান ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে এমন দাবিও নাকচ করেছেন ট্রাম্প।

রোববার (২৯ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

রোববার ফক্স নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “যদি তারা (ইরান) শান্তিপূর্ণভাবে থাকে, আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়, আর কোনো ক্ষতি না করে— তাহলে আমি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারি।”

তিনি আরও বলেন, “লক্ষ্য অর্জনে কঠোর বা নেতিবাচক হওয়ার চেয়ে সদয় এবং শান্তিপূর্ণ হওয়া বেশি কার্যকর। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইরানের জন্য অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে।”

তবে এর আগে ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উদ্যোগ বন্ধ করে দেন, কারণ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র আবার হামলা চালায়, তবে তারা মার্কিন ঘাঁটিগুলো টার্গেট করবে।

রোববারের এই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প পুনরায় দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর আগে ইরান তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিতে পারেনি, কারণ এটি ভারী ও বিপজ্জনক পদার্থ, যা অল্প সময়ের মধ্যে সরানো সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, “আমরা খুব একটা আগাম সতর্কবার্তা দিইনি। সুতরাং তারা কিছু সরিয়ে নিতে পারেনি। আসলে তারা ভাবতেও পারেনি আমরা এটা করে ফেলব।”

ট্রাম্প দাবি করেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলায় ইরান ‘ক্লান্ত’ হয়ে পড়েছে এবং বর্তমানে তাদের পক্ষে পরমাণু কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তার ভাষায়, “আগামী কিছু সময়ের জন্য, তারা পরমাণু নিয়ে আর কিছু করবে না। তাদের অবস্থাটা এমন যে— তারা আর পারছে না।”

এদিকে আব্রাহাম চুক্তিতে আরও দেশ যোগ দেবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে করা আব্রাহাম চুক্তিতে আরও কিছু দেশ যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে, যদিও তিনি নির্দিষ্ট করে কোনও দেশের নাম বলেননি।

মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমাদের সঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশ রয়েছে ইতোমধ্যেই। এখন আমরা আরও কয়েকটি দেশ এতে যোগ দিতে দেখবো। কারণ, ইরানই ছিল এই পুরো অঞ্চলের মূল সমস্যা।”