দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত পণ্যে নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  

ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিঠি প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মেক্সিকোর ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

ট্রাম্প মেক্সিকো থেকে ফেন্টানিল মাদক সীমান্ত পার হয়ে আসার কারণ দেখিয়ে দেশটির ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে জানিয়েছেন। এই ঘোষণা তিনি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবামকে পাঠানো এক চিঠিতে জানান।

ট্রাম্প চিঠিতে লেখেন, মেক্সিকো আমাকে সীমান্ত সুরক্ষায় সাহায্য করছে, কিন্তু মেক্সিকো যা করছে তা যথেষ্ট নয়। মেক্সিকো এখনও সেই কার্টেলগুলোকে থামাতে পারেনি, যারা পুরো উত্তর আমেরিকাকে মাদক পাচারের খেলার মাঠে পরিণত করতে চায়।

এর আগে ২ এপ্রিল ট্রাম্পের তথাকথিত “মুক্তি দিবস” ঘোষণার দিন মেক্সিকোর ওপর নতুন কোনো শুল্ক আরোপ করা হয়নি। তবে কানাডা ও মেক্সিকোর এমন পণ্য, যেগুলো ইউএসএমসিএ (যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি) এর আওতাভুক্ত নয়, সেগুলোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল রয়েছে। পাশাপাশি স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বলবৎ আছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাধারণত মেক্সিকো থেকে যানবাহন, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং ফলমূল, শাকসবজি, বিয়ার ও মদজাতীয় কৃষিপণ্য আমদানি করে।

অপর দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পূর্বে বাণিজ্য আলোচনাকে প্রশংসা করলেও, তিনি এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মেক্সিকোর ওপর নতুন করে ৩০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, যারা যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপন করবে, তাদের ওপর এই শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট এই শুল্ককে উভয় অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেন এবং জানান, ১ আগস্টের মধ্যে একটি চুক্তির চেষ্টা চলবে, তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থ রক্ষায় পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকাও জরুরি।

মেক্সিকোর অর্থনৈতিক মন্ত্রী মার্সেলো এবরার্দ এই সিদ্ধান্তকে অন্যায্য বলে অভিহিত করেন এবং জানান, মেক্সিকো ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ছিল, যাতে ব্যবসা ও চাকরি রক্ষা করা যায়।

সূত্র: এবিসি নিউজ