অপরাধীদের কেউ ছাড় পাবে না: চিফ প্রসিকিউটর

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানকালে সময় ঢাকার চানখারপুল এলাকায় ছয় শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার প্রক্রিয়া কোনো অবস্থাতেই বন্ধ হবে না এবং অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার (১১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, রাষ্ট্র এই হত্যাকাণ্ডের শিকার দেড় হাজারের বেশি মানুষের পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না, বরং দেশজুড়ে পরিচালিত একটি সুপরিকল্পিত এবং পদ্ধতিগত আক্রমণের অংশ ছিল।
এই মামলায় তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন, শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলামকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।
প্রসিকিউশন মামলার প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, ডিএমপি কমিশনারের ওয়্যারলেস বার্তা এবং পুলিশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের নথি জমা দিয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, এসব প্রমাণে দেখা যায়, আসামিরা নিরস্ত্র ছাত্রদের গুলি করার জন্য সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, আজ এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম সাক্ষী হিসেবে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের বাবা-মা সাক্ষ্য দেন। এরপর অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শী, আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা সাক্ষ্য দেবেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, যারা ভেবেছিলেন যে গণহত্যা চালিয়ে পার পাওয়া যাবে, তাদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট বার্তা।
তিনি বলেন, তরুণদের রক্তের বিনিময়ে দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা এসেছে, তাদের পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।
চলতি বছরের ১৪ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন। চানখারপুলের ঘটনায় নিহত ছয়জন হলেন, শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক এবং মানিক মিয়া শাহরিক। এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করেই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি দায়ের করা হয়।