আমরা ব্যবসা করতে আসিনি : প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ আয়োজিত ‘বাটেক্সপো ১৩’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী পোশাকশ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, বিক্ষোভ করবেন না, কারো প্ররোচনায় কান দেবেন না। তেঁতুল-তত্ত্ব চলে এসেছে। বিরোধীদলীয় নেতাও এতে সমর্থন দিয়েছেন। নারীদের কাজে বাধা দিতেই এ তত্ত্বকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। নারী-পুরুষ একসঙ্গে কাজ করবে। আপনারা সতর্ক থাকবেন। আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার।
রানা প্লাজা ধসে আহতদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আহত ও নিহত হয়েছেন আমরা তাদের ৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। পরিবারের সবার জন্য আলাদা আলাদাভাবে টাকা দিয়েছি এবং তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করে দিয়েছি। যাতে করে ওই শিশুরা অবহেলায় না থাকে। এমনকি নিহতদের যাদের দুটি বা তিনটি স্ত্রী রয়েছে। আমরা তাদের সবাইকে টাকা দিয়েছি।’
নিখোঁজদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি তাদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করেছি। তাদের নামে স্বজনদের কাছে আমরা টাকা দিয়েছি। হাসপাতাল, লাশ রাখার স্কুল ও উদ্ধারকর্মীদের মধ্যে যারা আহত বা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে আমরা চিকিৎসা ও টাকা দিয়ে সাহায্য করেছি। আগুনে পুড়ে যাওয়া উদ্ধারকার্মীকে আমরা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠিয়েছি। তার স্ত্রী ও সন্তানদের ভবিষতের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘৩৮ বছর আগে আমি আমার পরিবারকে হারিয়েছি। আমি বুঝি স্বজন হারানোর বেদনা কি।"
ভবিষ্যতে যাতে ভবন দুর্ঘটনায় আর কোনো মানুষকে স্বজন হারাতে না হয় তাই পোশাক কারখানার জন্য আলাদা বিল্ডিং কোড ঠিক করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘এ জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
এ ছাড়াও দুর্ঘটনারোধে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকবান্ধব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে বিশেষ করে আমি নিজ উদ্যোগে শ্রমিকদের জন্য সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছি। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে আমরা সবসময় সচেতন।’
(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/এএস/জেএম/অক্টোবর ১০, ২০১৩)