দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : বায়ারদের উদ্দেশে পোশাক মালিকরা বলেছেন, আমাদের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। আমরা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়িয়ে দেব। কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে মজুরি বাড়ানো কষ্টকর।


মালিকরা বলেন, ইউরোপ-আমেরিকা নয়, বাংলাদেশের পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে কারখানার কমপ্লায়েন্স করতে হবে। কমপ্লায়েন্স নীতি প্রণয়নের সময় বাংলাদেশের পরিবেশ, সংস্কৃতি, শিক্ষা ইত্যাদি বিবেচনায় আনতে হবে।

বিজিএমইএ অডিটরিয়ামে বুধবার বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কমপ্লায়েন্স ইস্যু নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তৈরি পোশাক শিল্পমালিকরা এমন বক্তব্য দেন।

বিজিএমইএ এবং বিকেএমই যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলামের পরিচলান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত গ্রিবান ডি জং। এছাড়া অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের প্রতিনিধি সারা কুক, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার উপস্থিত ছিলেন।

নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তাজরীন ও রানা প্লাজার পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর যেখানে ছিল সেখান থেকে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশের জিএসপি রক্ষার স্বার্থে কারখানাগুলোতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করতে হবে। শ্রমিকদের বেতন-কাঠানো কর্মপরিবেশের মতো ইস্যুগুলোতে আইএলও এবং বাংলাদেশের শ্রম আইনের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে হবে।’

এ সময় গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য সদ্যঘোষিত মজুরি কাঠামো নিয়ে তোপের মুখে পড়েন শ্রম সচিব মিকাইল শিপার। তৈরি পোশাক মালিকরা দেশের সব শ্রমখাতের জন্য ন্যূনতম মজুরি এক করার আহ্বান জানান।

ডিভাইন গ্রুপের ব্যবস্থানা পরিচালক বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের কারণে জনসাধারণের জীবন মানের পরিবর্তন হয়েছে। এমন কিছু করা উচিত হবে না যাতে এখাতে শ্রমিক বেকার হয়ে যায়।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, কমপ্লায়েন্সের কারণে বায়াররা এ দেশে ব্যবসা বন্ধ করে দিলে মালিকদের ক্ষতি হবে না। এতে সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়বে শ্রমিকরা। এর ফলে দারিদ্র্য হ্রাস কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।

(দিরিপোর্ট২৪/এআই/এনডিএস/নভেম্বর ১৩,২০১৩)