ঢাবি সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে একবারও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। আমরা চাই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ এগিয়ে যাক। সেজন্য কাউকে গণতন্ত্র হরণের সুঁই পরিমাণ সুযোগ দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ‘বিজয় একাত্তর’ হলসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ফলক উন্মোচন ও উদ্বোধন শেষে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আমরা নব্বই শতাংশ সিট নিয়ে পার্লামেন্টে আসি। সংবিধান সংশোধন করে গণতান্ত্রিক ধারা প্রত্যাবর্তন করেছি। ২০০৭ সালে যে সামরিক সরকারের অভ্যুত্থান হয়েছিল আমরা সেই মার্শাল ব্যাক আর চাই না।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন টকশোতে আলোচকগণ মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করেন এবং আদালতে মন্ত্রীদের স্বপদে বহাল থাকার ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। তারা মনে হয় সংবিধান ভালোভাবে পড়েন না।

তিনি বলেন, মন্ত্রীরা সকলেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া মানে পদত্যাগ নয়, পদত্যাগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রপতি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করা না পর্যন্ত মন্ত্রীরা তাদের পদে বহাল থাকবেন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র গ্রহণের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদান করার এখতিয়ার রাখেন।

তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে এ সরকারের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন নতুন শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। শিক্ষার হার ৪৫ শতাংশ থেকে ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করেছে।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আক্তার হুসাইন।

উক্ত অনুষ্ঠানের আগে প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত বিজয় একাত্তর হল, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আবাসনের জন্য বঙ্গবন্ধু টাওয়ার, সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য ছয় ইউনিটের ১২ তলাবিশিষ্ট শহীদ মুনির চৌধুরী ভবন, তরুণ শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য শহীদ আবুল খায়ের ভবন, প্রভোস্টদের আবাসনের জন্য প্রভোস্ট কমপ্লেক্স শহীদ এম এ মোক্তাদির ভবন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের এমবিএ (ইস্টার্ন উইং) ভবনের উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, গতবছর ১৪ নভেম্বর এইদিনে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ‘বঙ্গবন্ধু টাওয়ার’ ও রোকেয়া হলের ‘৭ মার্চ ভবন’ কবি সুফিয়া কামাল হল, জগন্নাথ হলের সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান ভবন এবং উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

(দিরিপোর্ট/জেএএস/এপি/জেএম/নভেম্বর ১৪, ২০১৩)