বিধান সরকার, বরিশাল সংবাদদাতা : হরতালে বরিশাল সড়ক পরিবহন সেক্টর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। হরতালে বরিশাল অঞ্চলে প্রতিদিন এই সেক্টরে ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি টাকা। মালিকদের ক্ষতির পাশপাশি চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমিকেরা।

বরিশাল অঞ্চলের রুটগুলোতে মালিকানাধীন ও বিআরটিসি মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজারের বেশি গাড়ি চলাচল করে। এই কাজে জড়িত রয়েছে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক। হরতালের দিনে তাদের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়ে। পেটের তাগিদে কেউবা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি বের করলে আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। সাকুরা পরিবহনের চালক আলীম দিরিপোর্টকে বলেন, একবার তার গাড়িতে পিকেটাররা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে গ্লাস ভেঙে যাত্রী আহত হয়েছিল। তারপর আর গাড়ি বের করেন না তিনি।

হানিফ পরিবহনের বরিশাল এরিয়া ম্যানেজার মো. রানা তালুকদার বলেন, বরিশাল অঞ্চলে তাদের ২৩টি গাড়ি চলাচল করে। একদিনের হরতালে ৩ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়। এমনি অবস্থা অন্য পরিবহন সংস্থাগুলোরও।

হরতালের কারণে পরিবহন মালিকদের ক্ষতির পরিমাণ অপূরণীয়। তাই হরতালের নামে এমন নৈরাজ্য চান না বলে জানান নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আফতাব হোসেন। তিনি জানান, হরতালে বেকার বসে থাকতে হয় নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডের ৩ হাজার শ্রমিককে। আর বিআরটিসি বাসের ১দিনের হরতালে লোকসান গুনতে হয় ২ দিনের। এজন্য প্রতিদিন ৬ লাখ টাকা এবং হরতালের আগের দিন ৪ লাখ টাকা মিলিয়ে ১০ লাখ টাকার রাজস্ব হারায় সরকার।

বিআরটিসি বরিশাল ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) মো. জামিল হোসেন বলেন, হরতালে বরিশাল অঞ্চলের ৪৮টি গাড়ির ২শ ২০ জন কর্মচারী পুরোটাই বসে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সকলের দাবি হরতাল ডেকে গাড়ি ভাঙচুর আর ব্যবসায়িক ক্ষতি না করে রাজনৈতিক দলের উচিত হরতালের বিকল্প কিছু করা।

(দিরিপোর্ট/বিএস/এপি/এমডি/নভেম্বর ১৪, ২০১৩)