মন্ত্রিসভার বৈঠক আজ
রিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রবিবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়েছে। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়েই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, নিয়মিতভাবে তারা যেভাবে বৈঠকে অংশ নিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের আমন্ত্রণ জানান এবারো একইভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারাও উপস্থিত আছেন। সকল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিলেও উপদেষ্টারা এখনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি বলে জানা গেছে।
গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে সেটা পুনর্গঠিত না বর্তমান মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে তা জানাননি তিনি।
সোমবারের পরিবর্তে রবিবার বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে তিনি জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী সোমবার বাংলাদেশ সফরে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী তার সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। এ কারণে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে রবিবার।
এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে অনুযায়ী বর্তমান ক্যাবিনেট কাঠামোতে আজই (সোমবার) হয়তো সর্বশেষ বৈঠক।
নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্য গত সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তারিখবিহীন পদত্যাগপত্র জমা দেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তবে কয়েকজন আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সকল সদস্যকে এক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
বিরোধী দল বলছে, বিষয়টি সংবিধানের পরিপন্থী, পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদ শূন্য হয়ে গেছে। তাদের আর কাজ করার অধিকার নেই। আবার সরকারীদল বলছে, সংবিধান মেনেই এটি করা হচ্ছে। এরপর মন্ত্রীদের স্বপদে বহাল থাকা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে একাধিক উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সরকারের ৪৫ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদনও হয়েছে।
বিতর্কের মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া নিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী শফিক আহমেদ জানান, সংবিধান অনুযায়ী এটি পদত্যাগপত্র নয়, একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। সংবিধান মেনেই পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
(দিরিপোর্ট২৪/আরএমএম/এমসি/জেএম/নভেম্বর ১৭, ২০১৩)