দিরিপোর্ট ডেস্ক : রেকর্ড, কলঙ্কমুক্ত ব্যক্তিত্ব- এই শব্দগুলো দুই যুগ ধরে ক্রিকেট বিশ্বকে মাতানো শচিন টেন্ডুলকারের কাছে ম্লান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনো কোনো বির্তকে জড়াননি। তাই তার বিদায়ে কেঁদেছে ক্রিকেটপ্রেমী সব মানুষ।

ভারতীয় দলে অনেক নামিদামি ক্রিকেটার নিজ নিজ কীর্তি গড়ে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু শচিন তাদের মতো নয়। তার বিদায়ে ভারত হারিয়েছে অনেক কিছু। আরেকজন শচিন পেতে ভারত তথা বিশ্বাবাসীর কতো সময় অপেক্ষা করতে হবে, কে জানে?

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলেই ব্যাটপ্যাড গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শচিন। ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। তাই তাকে শেষবারের মতো মাঠের ক্রিকেটার হিসেবে বিদায় জানাতে চেষ্টার কমতি রাখেনি কেউ। কারণ টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র তিনিই ২০০ টেস্ট খেলে অবসর নিয়েছেন।

সেঞ্চুরির সেঞ্চুরির হাঁকানো শচিন যত দিন খেলেছেন রেকর্ড ভাঙা গড়া ছিল তার নিত্যঘটনা। ওয়ানডে ক্রিকেট প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। যদিও তার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন স্বদেশি ক্রিকেটার রোহিত শর্মা ও বীরেন্দ্র শেবাগ।

অর্থ, যশ-খ্যাতির মোহে অনেকেই ডুবে বা হারিয়ে গেছেন। কিন্তু লম্বা ক্যারিয়ারে কখনো এসবের পেছনে দৌড়াননি তিনি। বরং এসবই লুটিয়ে পড়েছে ‘ক্রিকেট ঈশ্বরের’ পায়ে। শুধু রেকর্ড আর পারফর্ম দিয়েই সবাইকে কাছে টানেননি, ঈর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন লিটল মাস্টার।

লিটল মাস্টারের বিদায়ী টেস্টের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক গ্রেট ব্রায়ান লারা বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না ১৬ বছর বয়সে শচিনের মতো ব্যাটপ্যাড পরে কেউ ক্রিজে আসবে। আর দীর্ঘসময় সারাদুনিয়া কাঁপিয়ে রাজসিক বিদায় নেবে এই অঙ্গন থেকে।’

শচিনের মতো আর কেউ ক্রিকেটে আসবে কিনা তা নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ। কিন্তু বিদায়ের আগে তিনি যে কীর্তি গড়ে গেছেন এজন্য বলতেই হবে ‘নমস্য শচিন’।

(দিরিপোর্ট/সিজি/জেএম/নভেম্বর ১৭, ২০১৩)