চলে গেলেন গণকবি দিলওয়ার
দ্য রিপোর্ট২৪ ডেস্ক : একুশে পদকপ্রাপ্ত গণমানুষের কবি দিলওয়ার আর নেই। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে সিলেট নগরীর ভার্থখলার নিজ বাসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তার পুরো নাম দিলওয়ার খান। ১৯৩৭ সালের ১ জানুয়ারী তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মৌলভী হাসান খান ও মা রহিমুন্নেসা। ১৯৪৯ সালে সাপ্তাহিক যুগভেরীতে ‘সাইফুল্লাহ হে নজরুল’ তার প্রথম প্রকাশিত কবিতা। প্রথম জীবনে শিক্ষকতা করলেও পরে ১৯৬৭ সালে দৈনিক সংবাদের সহকারী সম্পাদক হিসেবে প্রবেশ করেন সাংবাদিকতায়। ১৯৭৩-৭৪ সালে তিনি দৈনিক গণকন্ঠের সহকারী সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি ঢাকার রুশ সংস্কৃতি কেন্দ্রের মাসিক উদয়ন পত্রিকার সিনিয়র অনুবাদক হিসেবে কাজ করেছেন।
১৯৭২ সালে গ্রামোফোন কোম্পানি তার চারটি গানের সংকলন প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বেতারের সিলেট কেন্দ্রের সূচনা হয় তার রচিত ‘তুমি রহমতের নদীয়া, দোয়া করো মোরে হযরত শাহজালাল আউলিয়া’ গানটি দিয়ে। এছাড়া, ‘আয়রে মজুর চাষী কুলি মেথর কামার কুমার- বাংলা ভাষা ডাক দিয়েছে বাংলা তোমার আমার’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গণসঙ্গীত রচনা করেন তিনি। পঞ্চাশের দশকের শক্তিমান ও নিভৃতচারী এই কবি রাজধানী ঢাকার মোহ ত্যাগ করে ফিরে গিয়েছিলেন সিলেটে। এরপর আর কোনোদিনই ফেরেননি।
তার প্রকাশিত কবিতা বইয়ের সংখ্যা ১৪। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঐক্যতান, পুবাল হাওয়া, উদ্ভিন্ন উল্লাস, বাংলা তোমার আমার, রক্তে আমার অনাদি অস্থি ও বাংলাদেশ জন্ম না নিলে। এছাড়া প্রকাশিত হয়েছে গীতি কবিতা, গান, প্রবন্ধ ও কলাম সংকলন। ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমী ফেলোশিপ এবং ২০০৮ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি।
বৃহস্পতিবার বাদ এশা ভার্থখলা মসজিদে তার জানাজা ও রাতে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি ৫ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য ভক্ত গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
(দ্য রিপোর্ট২৪/ডব্লিউএস/এমডি/অক্টোবর ১০, ২০১৩)