উৎসবে রঙিন পাহাড়
চট্টগ্রাম অফিস : পাহাড়ে জলকেলিতে মেতে উঠেছে মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জলকেলিতে মেতেছে হাজার হাজার পর্যটক ও বাঙালি। পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
বান্দরবানের রাজার মাঠে ও রেইছা বাজার এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জলকেলি উৎসব শুরু হয়। শতশত তরুণ-তরুণী অংশ নেয় এই জলকেলি উৎসবে।
আয়োজক উদযাপন কমিটির সভাপতি অং চ মং মারমা দ্য রিপোর্টকে জানান, জলকেলির মাধ্যমে অতীতের সব গ্লানি ধুয়ে-মুছে পবিত্র হয়।
এবার জলকেলি দেখতে পাহাড়ে প্রায় ১০ হাজার পর্যটক ভিড় করেছে বলেও জানান তিনি।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার শহরের প্রধান বৌদ্ধমন্দিরসহ জেলার বিভিন্ন ক্যাং (বৌদ্ধমন্দির) থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে সাঙ্গু নদীর তীরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শতশত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর উপস্থিতিতে বৌদ্ধমূর্তি স্নান করানো হয়।
স্নানানুষ্ঠানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় গুরু বুদ্ধ উ প ঞা জোত থেরো (উ চ হ্লা ভান্তে), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা ও পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবারের মতো এবারও বান্দরবান শহরের রাজগুরু বিহার থেকে প্রধান মূর্তিগুলোকে মাথায় করে ধর্মীয় শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় সাঙ্গু নদীর তীরে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মীয় দেষণা শ্রবণ ও প্রার্থনার পর মূর্তিগুলোকে চন্দনমিশ্রিত পানিতে স্নান করানো হয়।
এরপর স্নানে ব্যবহৃত পানি অনুসারীরা বোতলে ভরে বাড়িতে নিয়ে যান সারা বছরের গ্লানি ও অকল্যাণকে ধুয়ে-মুছে দিতে। পরে মূর্তিগুলোকে ফের রাজগুরু বিহারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
(দ্য রিপোর্ট/ কেএইচএস/কেএন/এনআই/এপ্রিল ১৫, ২০১৪)