দিরিপোর্ট ডেস্ক : আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকারী সংস্থা ওপিসিডব্লিউ। এ পরিকল্পনা অনুসারে সব রাসায়নিক অস্ত্র দেশটির বাইরে নিয়ে ধ্বংস করা হবে। খবর সিএনএনের।

গত অক্টোবরে ওপিসিডব্লিউ ও জাতিসংঘ যৌথভাবে দেশটির রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের লক্ষ্যে স্থাপনাগুলো পর্যবেক্ষণ শুরু করে। এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে ২০১৪ সালের জুনের মধ্যেই সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে গত শুক্রবার একটি সর্বাত্মক পরিকল্পনা করার জন্য ওপিসিডব্লিউর নির্বাহী পরিষদের সদর দপ্তরে আলোচনায় বসে।

এর আগে নিরাপত্তা পরিষদ সংস্থাটিকে ১৫ নভেম্বর মধ্যে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল।

রবিবার এক বিবৃতিতে ওপিসিডব্লিউ জানায়, পরিকল্পনা অনুসারে সবচেয়ে দ্রুত ও নিরাপদ পন্থায় ধ্বংস করতে ২০১৪ সালের ৩০ শে জুনের মধ্যেই সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রগুলোকে দেশটির বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।

পরিকল্পনায় আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দেশটি থেকে আইসোপ্রপানল যৌগ ছাড়া সকল ধরণের রাসায়নিক দ্রব্য ও সরঞ্জামাদি সরিয়ে নেওয়া হবে। আইসোপ্রপানল সেরিন গ্যাস উৎপাদনে ব্যবহার করা হলেও দ্রাবক হিসেবে এর ব্যাপক ব্যবহার থাকায় এ যৌগ আপাতত সরানো হবে না।

ওপিসিডব্লিউ আরো জানিয়েছে, এ পরিকল্পনা অনুসারে ২০১৩ সালের মধ্যেই সিরিয়ার বেশিরভাগ জটিল রাসায়নিক দ্রব্যগুলো দেশটির বাইরে সরিয়ে নেওয়া হবে। পাশাপাশি আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ মার্চ সময়ের মধ্যেই দেশটির রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন সুবিধা পুরোপুরি ধ্বংস করা হবে।

এদিকে নরওয়ের সরকার দেশটির রাসায়নিক অস্ত্র পরিবহনে একটি কার্গো জাহাজ এবং সামরিক সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে।

তবে কোন দেশের ভূখণ্ডে রাসায়নিক অস্ত্রগুলো ধ্বংস করা হবে তা এখনও ওপিসিডব্লিউ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

তবে আলবেনিয়া জানিয়েছে, রাসায়নিক অস্ত্রের ধ্বংসের স্থান দেওয়ার বিষয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি পরিকল্পনা শুক্রবার প্রত্যাখ্যান করেছে।

(দিরিপোর্ট/এআইএম/ এমডি/নভেম্বর ১৭, ২০১৩)