দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : উপমহাদেশের সঙ্গীতজ্ঞ সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ স্মরণে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা ও উচ্চাসঙ্গীতের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত অনুষ্ঠানে একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সঙ্গীত ও নৃত্য বিভাগের পরিচালক সোহরাব উদ্দীন। প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ’র জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন প্রখ্যাত সরোদশিল্পী শাহাদাৎ হোসেন খান, অসিত দে, রীনাত ফৌজিয়া ও প্রিয়াংকা গোপ।

আলোচনা পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে সেতার বাজিয়ে শোনান শিল্পী রিনাত ফৌজিয়া, সরোদ বাজান শিল্পী শাহাদাৎ হোসেন খান, কণ্ঠসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী অসিত দে ও প্রিয়াংকা গোপ। ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ ১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি সরোদ বাদক, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রে পারদর্শী, সুরকার এবং বিংশ শতাব্দীর মহান সঙ্গীতগুরুদের মধ্যে একজন। মূলত সরোদ তার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বাহন হলেও সাক্সোফোন, বেহালা, ট্রাম্পেটসহ আরো অনেক বাদ্যযন্ত্রে তার যোগ্যতা ছিল অপরিসীম। তিনি বাবা আলাউদ্দীন খান নামেও পরিচিত। আলাউদ্দীন খাঁর হাত ধরে হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। তিনি বিভিন্ন রাগ সৃষ্টি করেন। তার সৃষ্ট রাগ হচ্ছে অর্জুন, ভগবতী, ভীম, ভুবনেশ্বরী, চণ্ডিকা, ধবলশ্রী, ধনকোষ, দীপিকা, দুর্গেশ্বরী, গান্ধী, গান্ধী বিলওয়াল, হৈমন্তী প্রভৃতি। ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই মহান শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন।

(দিরিপোর্ট২৪/কেএম/এইচএসএমস/নভেম্বর ১৭, ২০১৩)