সাহিত্যে নোবেল পেলেন কানাডার এলিস মুনরো
দ্য রিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : সাহিত্যে এবারের নোবেল পুরস্কার পেলেন কানাডার ছোটগল্পকার এলিস মুনরো। সুইডিশ নোবেল একাডেমী এই লেখিকা সম্পর্কে বলেছে ‘তিনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে গল্প বলতে পারেন। তার গল্পের বিষয়বস্তু সুস্পষ্ট ও বাস্তববাদী।’
কানাডার স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবরটি পৌঁছায় ৮২ বছর বয়সী মুনরোর কাছে। বিস্মিত মুনরোর প্রতিক্রিয়া তখন ছিল এমন- ‘জানতাম তালিকায় আমার নাম আছে। কিন্তু কখনো ভাবিনি যে আমিই জিতব।’
এলিস মুনরোর জন্ম ১৯৩১ সালের ১০ জুলাই, কানাডার অন্টারিও প্রদেশের উইংহ্যাম এলাকায়। সেখানের গ্রাম্য ও শান্ত পরিবেশে তার বেড়ে ওঠা। বাবা ছিলেন খামার মালিক, মা স্কুলশিক্ষক।
ছোটবেলা থেকেই মুনরোর ইচ্ছা লেখক হওয়ার। ইউটিউবে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মুনরো বলেছেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, লেখালেখি করেই আমি কেবল সফল হতে পারি। কেননা, আমার মধ্যে অন্য কোনো গুণ ছিল না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি সত্যিই বুদ্ধিজীবী ধরনের কেউ নই, বরং একজন ভালো গৃহবধূ।’
মুনরোর প্রথম গল্প দ্যডাইমেনশন অব আ শ্যাডোপ্রকাশিত হয় ১৯৫০ সালে। তার লেখা ছোটগল্প সংকলনের মধ্যে আছে লাইভসঅব গার্লস অ্যান্ড উইম্যান (১৯৭১), সামথিংআই হ্যাভ বিন মিনিং টু টেল ইউ (১৯৭৪), দ্যমুনস অব জুপিটার (১৯৮২), ফ্রেন্ডঅব মাই ইয়োথ (১৯৯০), ওপেনসিক্রেটস (১৯৯৪), দ্যলাভ অব আ গুড উইম্যান (১৯৯৮), হেটশিপফ্রেন্সশিপ কোর্টশিপ লাভশিপ ম্যারিজ (২০০১), রানঅ্যাওয়ে (২০০৪), টুমাচ হ্যাপিনেস-২০০৯ এবং ডিয়ারলাইফ (২০১২)।
৫০-এর দশকে এলিস মুনরো ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। এখানে পরিচয় হয় জেমস মুনরোর সঙ্গে। তারা বিয়ে করেন ১৯৫১ সালে। জেমসের সঙ্গে তার দুই দশকের সংসার ভেঙে যায় ১৯৭২ সালে। এর আগে তিন কন্যাসন্তানের মা হন তিনি। চার বছর পর আবার বিয়ে করেন জেরাল্ড ফ্রেমলিনকে।
নোবেলের আগে বেশকটি সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছেন এলিস মুনরো। গভর্নর জেনারেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনবার। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত ড্যান্সঅব দ্য হ্যাপি শেডস, ১৯৭৮ সালে হুডু ইউ থিংক ইউ আরএবং ১৯৮৬ সালে দ্যপ্রোগ্রেস অব লাভবইয়ের জন্য। কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। মর্যাদাসম্পন্ন বুকার পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৯ সালে দ্যবেয়ার কাম ওভার দ্য মাউন্টেনবইয়ের জন্য।
(দ্য রিপোর্ট২৪/ওএস/এইচএস/জেএম/অক্টোবর ১০, ২০১৩)