রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি মুশাররফ
দিরিপোর্ট ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মুশাররফের বিরুদ্ধে এবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হচ্ছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা পরিচালনা করতে সরকার সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করবে। খবর বিবিসির।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চাওধ্রি নিসার আলি খান বলেন, ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারি ও সংবিধান স্থগিত করার জন্য তিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতায় অভিযুক্ত। সোমবার সরকার আদালতকে তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু করতে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠাবে।
এ বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানে ফিরে আসার পর মুশাররফের বিরুদ্ধে এটা সর্বশেষ আইনি বাধা। যদি তিনি অভিযুক্ত প্রমাণিত হন, তাহলে তার মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
এর আগে পাকিস্তানের সরকার গত জুনে সাবেক এই সেনাশাসকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা আনু্ষ্ঠানিক কোন অভিযোগ দাখিল করেনি।
মুশাররফ ২০০৭ সালে ইসলামাবাদের লাল মসজিদে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে একটি অপারেশন পরিচালনার কারণে ইতোমধ্যেই বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। ওই ঘটনায় একজন ধর্মীয় নেতাসহ শতাধিক লোক নিহত হয়েছিল। আর এর সূত্র ধরে দেশটিতে অস্থিরতা দেখা দেয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো এবং বালুচ উপজাতীয় নেতা নওয়াব আকবর বুক্তির হত্যা মামলায় তিনি বিচারের মুখোমুখি হবেন। এছাড়া পাঁচ বছর আগে একজন জ্যেষ্ঠ বিচারককে অপসারণের চেষ্টার দায়েও তিনি বিচারের মুখোমুখি হবেন। এদিকে এক সপ্তাহ আগে জামিন পেয়ে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্ত হন মুশাররফ।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠান পর প্রথম কোন সাবেক সেনাশাসক হিসেবে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন। যদিও মুশাররফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে অভিহিত করেছেন।
মুশাররফ পাকিস্তানে ফিরে আসার পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। এর মধ্যে করাচির একটি আদালতে তাকে লক্ষ্য করা জুতাও ছোড়া হয়। অন্যদিকে গত এপ্রিল থেকে তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয় এবং তার নির্বাচনে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
১৯৯৯ সালে রক্তপাতহীন এক সেনাঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের ক্ষমতায় ছিলেন।
(দিরিপোর্ট/আদসি/জেএম/নভেম্বর ১৮, ২০১৩)