আশুলিয়া ও হেমায়েতপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ
সাভার সংবাদদাতা : আশুলিয়া ও হেমায়েতপুর শ্রমিক অসন্তোষে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা করাসহ কয়েকটি দাবিতে আবারো বিক্ষোভ করেছে পোশাক শ্রমিকরা।
এসব এলাকার বিভিন্ন স্থানে সোমবার সকাল থেকেই পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। এতে অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে।
সংঘর্ষে পথচারীসহ দেড় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন এবং একদিনের ছুটি ঘোষণা হয়েছে অর্ধশতাধিক কারখানায়।
সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের কারণে সকাল পৌনে ৯টা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মজুরি বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার ৩০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি মালিক পক্ষ মেনে নিলেও ৮ হাজার টাকার দবিতে আশুলিয়ার শিমুলতলা, নরসিংহপুর, জামগড়া এলাকার পোশাক শ্রমিকরা গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ ভাংচুর চালিয়ে আসছে।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে ওই এলাকার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুর ও সড়কের পাশের বিভিন্ন কারখানায় ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে শ্রমিকরা তাদের দিকে ঢিল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
এদিকে সকাল সোয়া ৯টার দিকে বেরন এলাকার ইস্টার্ন হাউজিং মাঠেও শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সংঘর্ষে শতাধিক শ্রমিক আহত হন। তাদের বেরন এলাকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
শিল্প পুলিশ-১ আশুলিয়া জোনের পরিদর্শক আব্দুস সাত্তার দিরিপোর্টকে জানান, সংঘর্ষ শুরুর পর শিমুলতলা থেকে জিরাব পর্যন্ত অর্ধশতাধিক কারখানায় একদিনের ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ন্যূনতম মজুরির পাঁচ হাজার তিনশ’ টাকা চলতি বেতনের সঙ্গে দেয়াসহ ১০ দফার দাবিতে সকালে প্রায় একই সময়ে হেমায়েতপুর এলাকার স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের শ্রমিকরা কাজে এসে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে সেখানেও একদিনের ছুটি ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
শ্রমিক বিক্ষোভ নিয়ে শিল্প পুলিশের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান দিরিপোর্টকে জানান, কয়েকদিন ধরেই শ্রমিকরা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করে আসছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ র্যাব ও বিজিবি টহল বাড়ানো হয়েছে।
(দিরিপোর্ট/ওএস/এমসি/নভেম্বর ১৮, ২০১৩)