দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : ব্যাংকে কিংবা অনলাইনে-মুহুর্তেই শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট! টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের মুলটি পর্ব এ দুই দলের লড়াই দিয়ে শুরু হবে। ২১ মার্চ এ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। রবিবার সকালে টিকেট বিক্রি শুরু হয় দেশব্যাপী। আর মুহুর্তেই এ ম্যাচের টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে যায়। এ ম্যাচটির সঙ্গে ১৬ মার্চ প্রথম পর্বে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের টিকেট বিক্রিও শেষ।

শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ও বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটি নিয়েই উৎসাহ দেখা গেছে। অন্য ম্যাচগুলোরও টিকিটের চাহিদারও কমতি নেই। প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের আরও দুটি ম্যাচ রয়েছে। প্রথম ম্যাচটি হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। এরপর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৮ ও ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ। এ ম্যাচের টিকিট নিয়েও আগ্রহের কমতি নেই। তবে প্রথম রাউন্ড শেষে যে মুল পর্বে বাংলাদেশ খেলবে এর নিশ্চয়তা না থাকায় সেই ম্যাচগুলোর দিকে খানিকটা কম ঝুকছে দর্শকরা। এরপরও বিক্রি দ্রুতই হয়ে যাচ্ছে।

দেশব্যাপী অগ্রণী ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংকের মোট ৯২ টি শাখায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। একদিন চলেও গেছে। অগ্রণী ব্যাংকের ৪৯টি ও এনসিসি ব্যাংকের ৪৩ টি শাখায় টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ৫০ থেকে ৭৫ জনকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে।

টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের টিকিট কিনতে অনেক স্থানেই সেই শুক্রবার থেকে ব্যাংকগুলোর সামনে বসে থাকতেও অনেককে দেখা গেছে। আর শনিবার প্রতিটি শাখাতেই দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। অনেকেই টিকিট না নিয়ে যাবেন না, এমন প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। অর্থাৎ দুই-তিনদিন থেকেও যদি টিকিট মিলে তাহলেও টিকিট কিনবেন। সারা দেশেই একই অবস্থা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট ছাড়া কাউকেই টিকিট দেওয়া হচ্ছেনা।

স্থানীয় প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুন্সিগঞ্জে অগ্রণী ব্যাংকের শুধু মুন্সিগঞ্জ শাখাতে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হয়েছে। টিকিট পেতে উপচেপড়া ভীর সেখানে। গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি যেমন বলেছেন, গোপালগঞ্জে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের অগ্রীম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী একমাস গোপালগঞ্জ শাখায় টিকিট বিক্রি হবে। মাগুড়া প্রতিনিধি জানিয়েছে, উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের এম আর রোডের প্রধান শাখায় টিকিট বিক্রি চলেছে। ৭০ জনের মধ্যে ২৮০ টি টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। নওগাঁ থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি স্থানেই একই রকম পরিস্থিতি বিরাজ করেছে।

অবশ্য এখনই হাতে টিকিট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। অর্থ নিয়ে টোকেন দেওয়া হয়েছে। পরে টিকিট কোথা থেকে নিতে হবে তা মোবাইল নাম্বারে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। ৫০ থেকে ৬ হাজার টাকা মুল্যের টিকিটও পাওয়া গেছে। সর্বনিম্ন ৫০ টাকার টিকিট কিনলে পূর্ব গ্যালারিতে খেলা দেখা যাবে। ১৫০ টাকার টিকিট কিনলে দক্ষিণ ও উত্তর গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে পারা যাবে। শহীদ মুস্তাক ও শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের টিকিটের মুল্য ৩০০ টাকা করে। ভিআইপি স্ট্যান্ড ৭৫০ টাকা। ব্যাংকের সব স্থানের টিকিট মিললেও অনলাইনে সব টিকিট মিলছেনা। আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে বিক্রি শেষ। দুপুরের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকেট!

(দিরিপোর্ট/এএস/সিজি/নভেম্বর ১৮, ২০১৩)