৪ কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল

দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : অস্বাভাবিকহারে শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়া ১২ কোম্পানির মধ্যে চার কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) দাখিল করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এসব প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে দর বৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
কোম্পানি চারটি হলো- প্রকৌশল খাতের আনোয়ার গ্যালভাইজিং ও মুন্নু স্টাফলারস, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের রহিমা ফুড এবং বস্ত্র খাতের মডার্ন ডাইং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিং লিমিটেড।
এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর বিএসইসির ৪৯৪তম কমিশন সভায় ১২টি স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকহারে বাড়ার কারণ তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে ডিএসইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
অস্বাভাবিকহারে দর বৃদ্ধি পাওয়া ১২ কোম্পানি হলো- লিগাসি ফুটওয়্যার, দেশ গার্মেন্টস, বিডি অটোকারস, রহিমা ফুড, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক, মুন্নু স্টাফালারস, মডার্ন ডায়িং, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস, হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার, ইনটেক অনলাইন ও আলহাজ টেক্সটাইল।
৪৯৪তম কমিশন সভাশেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘সম্প্রতি এসব শেয়ারের দর ৫০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। যা বিএসইসির সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারে ধরা পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিগুলোর কাছে শেয়ার দর অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধির কারণ জানতে চাওয়া হয়। নোটিশের জবাবে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে শেয়ার দর বৃদ্ধির পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানানো হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিলের জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিএসইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান দিরিপোর্টকে বলেন, ‘ডিএসই নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১২ কোম্পানির মধ্যে ৪ কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। বাকি ৮ কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই দাখিল করবে বলে জানানো হয়েছে। আর যেসব কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে তাতে কিছু অসঙ্গতি থাকতে পারে বলে জানান তিনি।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক সদস্য জানান, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকহারে বাড়তে দেখা গেছে। বিষয়টি সার্ভিল্যান্স বিভাগের নজরে আসায় বিএসইসি কর্তৃপক্ষ আমাদের নেপথ্যের কারণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা সেভাবে কাজ করে প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করেছি।’
(দিরিপোর্ট/এনটি/এইকে/এএস/নভেম্বর ১৮, ২০১৩)