দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথের দিন সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের অনেকেই অফিস করেছেন।

এদের মধ্যে কয়েকজন বিদায়ও নিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে। অনুপস্থিতও ছিলেন কেউ কেউ। বাইরের কর্মসূচি থাকায় এবং নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করায় অফিসে আসতে পারেননি কোন কোন মন্ত্রী। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তখনই জানা যাবে মহাজোটের মন্ত্রিসভার কোন কোন সদস্য থাকছেন। শপথ নেওয়া সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার নতুন সদস্য ও পুরনোদের মধ্যে দফতর বণ্টন করে আলাদা আদেশ জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে অফিসে এলেও ১১টার দিকে নায়েমে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বেরিয়ে যান। অফিস করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সোমবার অফিসে আসেননি। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ রয়েছেন জামালপুরে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান অফিস করছেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামও যথারীতি অফিসে এসেছেন।

পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হক অফিসে আসেননি। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই অফিসে আসছেন না বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের।

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন এবং প্রতিমন্ত্রী মো. মোতাহার হোসেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে দুজনই বিদায় নেন সাংবাদিকদের কাছ থেকে। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকও তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে বিদায় নেন।

নিমার্ণ শ্রমিকদের জন্য গোষ্ঠী বীমা চালু নিয়ে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পূর্ব পর্যন্ত বর্তমান মন্ত্রিসভা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জানিয়েছেন।

দিরিপোর্ট/আরএমএম/এসবি/নভেম্বর ১৮, ২০১৩)