তারেকের জন্মদিন বুধবার
দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৪৯তম জন্মদিন বুধবার। ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান জন্মগ্রহণ করেন।
স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও কন্যা জায়মা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমানে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার অনুপস্থিতিতেই বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন তার জন্মদিন পালন করবে।
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এ ছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা করবে ছাত্রদল।
প্রসঙ্গত, বিগত ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ দুর্নীতি মামলায় গ্র্রেফতার হন তারেক রহমান। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে যান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন। ১৭ নভেম্বর বহুল আলোচিত অর্থপাচার মামলার খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০০২ সালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পান তারেক রহমান। বর্তমান তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান।
এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির রাজনীতিতে নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন তারেক। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক কার্যালয় ‘হাওয়া ভবন’ ব্যাপক প্রচারণা পায়। মিডিয়ার কল্যাণে তখন হাওয়া ভবন কেন্দ্রীক তারেকের কর্মকাণ্ড জনমনে ব্যাপক সমালোচনারও জন্ম দেয়। হাওয়া ভবনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও সপ্তাহে এক-দুই দিন অফিস করতেন। হাওয়া ভবন ছিল বিএনপি চেয়ারপারসনের অফিসের রিচার্স সেল।
তারেক মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে বগুড়ার গাবতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য হন। কার্যত ওই সময় থেকেই তিনি সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবী অরাজনৈতিক সংগঠন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনেরও প্রেসিডেন্ট।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, তারেক রহমান বিদেশে থেকেও দলের সঙ্গে সক্রীয় আছেন সমান ভাবে।নিয়মিতই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি।
(দিরিপোর্ট/এমএইচ/এসবি/নভেম্বর ১৮, ২০১৩)