‘বিরোধী দল আন্দোলনের অংশ হিসেবেই নির্বাচনে আসবে’
দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে প্রধান দুই দলের মধ্যে কোন সমঝোতা না হলেও শুধুমাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবেই প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণে পরামর্শক নিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘মেঘ যত কালো ও ঘন হোক না কেন তার পেছনেই লুকিয়ে থাকে চির দিনের আলোক উজ্জ্বল সূর্য। রাত গভীর হলেই ভোর নিকটবর্তী হয়। তাই সংকট যতই গভীর হোক না কেন তা সমাধান হবেই। আমি মনে করি, সংকট সমাধানে সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। আমরা সমঝোতার সেতু তৈরী করতে পারবোই। সমঝোতার যে আলোটুকু জোনাকির মতো পিটপিট করে জ্বলছে তা যদি নিভেও যায় তবুও শুধুমাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নিবে। কারণ বাংলাদেশে নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা বদল সম্ভব নয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে দুই একটি নির্বাচন ছাড়া সকল নির্বাচনই অবাধ ও গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। এক-এগারোর মতো ঘটনায় দেশের দুই নেত্রীকে মাইনাস করার মাধ্যমে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করা হয়েছিলো। ওই সময় থেকে আমাদের শিক্ষণীয় অনেক কিছু ছিলো। দুর্নীতির নামে তখন রাজনীতিবিদদের পাইকারি দরে জেলে ঢোকানো হয়েছিলো। তখন কারাগার আমাদের রাজনীতিবিদদের জন্য ছিলো পাঠশালা। এক-এগারোর মতো ঘটনা যাতে আর ঘটতে না পারে সেটায় আমাদের সবার লক্ষ্য। আর এখন যে সংকট চলছে দেশ ও জনগণের স্বার্থে দেশের দুই রাজনৈতিক দল অবশ্যই সমঝোতায় পৌছাবে।’
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আগ মুহুর্তে এধরণে সংকট সৃষ্টি হওয়া আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন কিছু না। এমন সংকট আগেও সৃষ্টি হয়েছে আবার তার সমাধানও হয়েছে।’
বিরোধী দলবিহীন সর্বদলীয় সরকার কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখনও সময় আছে সর্বদলীয় সরকারে বিরোধী দল যুক্ত হওয়ার। আজ না হয় কাল এমনকি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে যে কোন মুহুর্তে বিরোধী দল সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিতে কোন বাঁধা নেই। আর সর্বদলীয় সরকারে বিরোধী দলকে আমন্ত্রণের ব্যাপারে নেপথ্য যোগাযোগ চলছে। আমি আশা করি বিএনপি সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিবে।’
মহাজোটের প্রধান শরীক জাতীয় পার্টি জোট ত্যাগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এরশাদ সাহেব মহাজোট ত্যাগ করে নিজে জোট করে নির্বাচন করতেই পারেন। নির্বাচন করার অধিকার তার আছে। আর মহাজোট ছেড়ে দেয়ায় আমাদের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। এরশাদ আওয়ামী লীগ করেন না তিনি জাতীয় পার্টি করেন।’
এরশাদের নতুন জোট প্রসঙ্গে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিতে এবং ক্ষমতায় যেতে যে জোট আমরা করি তা কোন আর্দশিক জোট নয়, কৌশলগত জোট করা হয়। রাজনীতি হলো একটি মিউজিক্যাল চেয়ার এখানে বসে ঘোড়া কেনা-বেচা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই হয়। এখানে জোট হবে আমার জোট ভাঙবে এটাই নিয়ম।
(দিরিপোর্ট/এইচআর/এইচএস/এমডি/নভেম্বর ১৮, ২০১৩)