দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে সার্ভিসেস দল বাংলাদেশ পুলিশ। সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কোয়ালিফাইং ম্যাচে তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে বিকেএসপিকে। মূলপর্বে তারা টিম বিজেএমসি ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেডের সঙ্গে লড়াই করবে।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও অপেক্ষাকৃত পরিপক্ক মনে হয়েছে পুলিশের ফুটবলারদের। তাদের প্রতিটি আক্রমণ ছিলো নিখুঁত। যা থেকে বিজয়ীরা দুইবার বল জালে পাঠাতে সামর্থ হয়েছে। বিকেএসপিও গোলের সুযোগ পেয়েছিলো, কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে তাদের ফুটবলাররা সফল হতে পারেননি। ২৬ মিনিটের শেষের দিকে পুলিশের ফরোয়ার্ড জহিরুল ইসলামের শট বিকেএসপির গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে আমিরুল ইসলামের প্লেসিং শটে বল জালে জড়িয়েছেন (১-০)। পিছিয়ে পড়লেও হতাশ না হয়ে গোল পাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে কমলা জার্সীধারীরা। বেশ কয়েকবার গোল পোষ্টের কাছে বল নিয়ে গেলেও পুলিশের রক্ষণদূর্গ ভেদ করা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। ৪০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সবুজ জার্সীধারীরা। পুলিশের ফরোয়ার্ড কবিরূল ইসলামের পাস থেকে বল পেয়ে সুযোগ কাজে লাগান ফরোয়ার্ড জহিরুল ইসলাম। জহিরুলের দুর্দান্ত শটটি চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না বিকেএসপির গোল রক্ষক মাহফুজ হাসান প্রিতমের (২-০)। প্রথমার্ধ পিছিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় বিকেএসপি। ৮৬ মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ এসেছিলো বিকেএসপির। ডিফেন্ডার সরোয়ার হোসেন জনি ডি বক্সের ভেতর বিকেএসপির সাদ্দামকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় বিকেএসপি। কিন্তু ফরোয়ার্ড রোহিত সরকারের শটটি আটকে দিয়ে দলকে আবারো রক্ষা করেছেন পুলিশের গোলরক্ষক আজম খান।

গত মৌসুমের ফেডারেশন কাপেরও চূড়ান্ত পর্বে খেলেছিলো পুলিশ। সেবার যশোর থেকে জোনাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেয়েছিলো দলটি। ম্যাচ শেষে পুলিশের কোচ সেলিম খান বলেছন, ‘জাতীয় দলকে হারানোর মতো ক্ষমতা রয়েছে আমাদের দলের। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও ফেডারেশন কাপের জন্য প্রায় ১৫ দিন অনুশীলন করেছি আমরা। চূড়ান্ত পর্বে উঠতে পেরেছি এখন আমাদের লক্ষ্য ভালো খেলে গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করা।’

(দিরিপোর্ট২৪/এএস/এমআই/নভেম্বর ১৮, ২০১৩)