আসন না রাখায় ক্ষুব্ধ প্রতিমন্ত্রী ফিরে গেলেন
দুপুর ১টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট পর স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সম্মেলন কক্ষে আসেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হকের বাম পাশে বসে ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন। ডান পাশে বসে অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন বিএইচআরএফ-এর সভাপতি তৌফিক মারুফ।
তৌফিক মারুফ প্রতিমন্ত্রীকে আসতে দেখে চেয়ার ছেড়ে তাকে বসতে দেন। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী না বসে ক্ষুব্ধ হয়ে ‘বসেই তো পড়েছেন’ বলে সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করেন।
অনুষ্ঠানে বিগত পাঁচ বছরে স্বাস্থ্যখাতের অর্জনগুলো তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচনী অঙ্গীকারের প্রায় সবগুলো পূরণ করতে পেরেছি। বর্তমান সরকারের সময় মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার, এইডস সংক্রমণের হার কমেছে। কালাজ্বর ও কুষ্ঠরোগ নির্মূল হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যনীতি পুনর্মূল্যায়ন করে যুগের চাহিদা অনুযায়ী তা নবায়ন করা হবে।
গরীব মানুষের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যকার্ড করতে না পারাকে নিজের ব্যর্থতা বলে স্বীকার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করেও পারিনি, পার্শ্ববর্তী অনেক দেশে এমন কার্ড চালু রয়েছে। এ কার্ডের বিনিময়ে রোগীরা যে কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সেবা নিতে পারেন।
জনৈক ঠিকাদার মন্ত্রণালয়ের বদলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন এবং এর সঙ্গে মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা জড়িত– এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমার পরিবার কোনভাবেই এসবের সঙ্গে জড়িত নয়। আর বদলির ফাইল সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের (ডিজি) কাছে যায়। তারাই এটা ভালো বলতে পারবেন।
দলীয় বিবেচনায় চিকিৎসকদের পদোন্নতি দেওয়া হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। ঈদের পরেও তাদের পদোন্নতি হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে রুহুল হক বলেন, গুলিবিদ্ধ বা জরুরি রোগীদের অবশ্যই বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/এমএআর/জেএম/অক্টোবর ১১, ২০১৩)