দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন নতুন মন্ত্রীরা।

সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে নির্বাচনকালীন সরকারের নতুন মন্ত্রীরা শপথগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, এই মন্ত্রিসভার চ্যালেঞ্জ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা। আমরা তা করবো।

বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখনো সময় আছে এই মন্ত্রিসভায় যোগ দিন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য এই মন্ত্রিসভা নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। নির্বাচনকালীন সরকারের কেবিনেটে যোগদানের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখনো পথ খোলা আছে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশের চরম রাজনৈতিক সংকটে আমাদের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট শক্তিকে প্রতিহত করা এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হচ্ছে। আসন্ন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্য সাধারণ সময়ের নির্বাচন নয়। এটি একটি মতাদর্শিক রাজনৈতিক যুদ্ধ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করার যুদ্ধ।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট যে ষড়যন্ত্র করছে তা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। লাগাতার হরতাল বোমাবাজি অগ্নিসংযোগ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা কোন ধরনের গণতন্ত্রের মূল্যবোধ বহন করেনা এবং তারা ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে অসাংবিধানিক ধারাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। আজকের এই পরিস্থিতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ গ্রহণযোগ্য করে তুলতে সর্বস্তরের মানুষের অংশ্রগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ বলেন, একটি দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। এই কেবিনেটে অংশগ্রহণ করার মধ্যদিয়ে নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করবো। তাই বিএনপিকেও এই মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশের বর্তমান সংকট নিরসনে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরী। এর জন্য জাতীয় পার্টি যতটুকু সম্ভব অবদান রাখার চেষ্টা করবে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অংশগ্রহণের ব্যপারে আমরা আশাবাদী।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করবেন। আমরা আশাকরি আলোচনা ইতিবাচক হবে। এরপর বরফ গলতে শুরু করবে।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করবো বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার ব্যপারে সরকার আরো নমনীয় হবেন। বিএনপি যাতে এই মন্ত্রিসভায় অংশ নেয় সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে সকল প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে।

(দিরিপোর্ট/এসআর/এসবি/নভেম্বর ১৮, ২০১৩)