দিরিপোর্ট ডেস্ক : নেপালে মঙ্গলবার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে শতাধিক রাজনৈতিক দল। বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত দেশটির কোনো রাজনৈতিক দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভির।

মঙ্গলবারের এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশটিতে মোট ৬০১টি আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। যারা দেশটির জন্য একটি সংবিধানও প্রণয়ন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নেপাল এর আগেও এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছে।

২০০৮ সালে তৎকালীন সংসদের সংবিধান প্রণয়ন করার কথা ছিল। কিন্তু তৎকালীন সংসদ সদস্যরা কোনো ধরনের ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারে নি বলে শেষ পর্যন্ত তারা এর কাজ শেষ করতে পারেনি। এর ফলে যথাযথ সংবিধানের অনুপস্থিতিতে দেশটিতে প্রায় সাত বছর ধরে এক ধরনের রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এ কারণে দেশটির উন্নয়ন ও সাহায্য পরিকল্পনাগুলোও আটকে আছে।

দারিদ্র্য, জ্বালানি সংকট, দুর্নীতি ও সংবিধানের অনুপস্থিতির কারণে দেশটির রাজনীতি গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে। তাছাড়া এখনও নেপালের কোনো সর্বসম্মত সংবিধান না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।

এ পরিস্থিতিতে নেপালিদের মধ্যে ভোটদানেও অনীহা তৈরি হয়েছে। রাজধানী কাঠমুণ্ডের একজন ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা পেমা গুরাং বলেন, ‘সেই পুরোনো মুর্খগুলোকে আবারও নির্বাচিত করার কোনো মানে নেই। তারা দেশের জন্য কিছুই করেনি। বরং নিজেদের সুবিধা আদায়ের জন্য বারবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে।’ তাই নেপালের আরো অনেক নাগরিকের মতো রাজনীতির ওপর বিরক্ত এই নারী ভোটার তালিকায় নাম তোলেননি।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে এক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নেপালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। এর পর থেকে দেশটিতে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।

(দিরিপোর্ট/আদসি/এসকে/নভেম্বর ১৯, ২০১৩)