সঞ্জীব চৌধুরীর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ
দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : এক পলকেই চলে গেলো, আহ্ কি যে তার মুখখানা- নিজের গাওয়া গানের মতো করেই ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর পরপারে পাড়ি জমান সাংবাদিক ও সঙ্গীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরী। তার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে অগণিত ভক্ত শ্রোতারা।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ১৯ নভেম্বর মারা যান তিনি।
এই মৃত্যু যেন সৃষ্টিশীল ভাবনার মৃত্যু। নিয়তিকে মেনে নিয়েছে তার ভক্তরাও। কিন্তু তার স্মৃতি এখনো কাতর করে তোলে স্ত্রী শিল্পী ও কন্যা কিংবদন্তিকে।
সঞ্জীব চৌধুরী ১৯৬২ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৮০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান দখল করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি গণিত বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা শেষ করতে না পেরে পাস কোর্সে স্নাতক পাস করেন। এরপর সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী করেন।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও প্রথম আলোতে কাজ করেন। দৈনিক পত্রিকায় ফিচার বিভাগের আধুনিকায়ন মূলত তার হাত ধরেই। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় কাজ করছেন এমন অনেক সাংবাদিক তার হাতেই গড়া।
ছাত্রজীবনে শঙ্খচিল নামে একটি গানের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে বাপ্পা মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন ভিন্নধর্মী ব্যান্ড দলছুট। স্বপ্নবাজি নামে একটি একক অ্যালবাম মুক্তি পায় তার।
ব্যান্ড ও একক অ্যালবামে সঞ্জীব চৌধুরীর গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, বায়োস্কোপ, আমি তোমাকেই বলে দেবো, আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ, সাদা ময়লা রঙিলা পালে, চোখ, কথা বলবো না প্রভৃতি।
গান গাওয়ার পাশাপাশি গানও লিখতেন তিনি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অনেক গীতিকারই তার লেখায় প্রভাবিত হয়েছে। গানের পাশাপাশি কবিতাও লিখতেন তিনি। একমাত্র কাব্যগ্রন্থের নাম ‘রাশপ্রিন্ট’। ছোট গল্প ও নাটকের স্ক্রিপ্টও লিখেছেন। অভিনয় করেছেন ‘সুখের লাগিয়া’ নাটকে।
(দিরিপোর্ট২৪/আইএফ/এমসি/নভেম্বর ১৯, ২০১৩)