দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনকে সরকারের তাবেদার উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, সরকারের নির্দেশে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিএনএফ নামক প্রেতাত্মাকে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনএফ প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন ‘মনোনিত’ দল কি না, জাতি তা জানতে চায়।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপিকে ভাঙার লক্ষ্যেই সরকার তার সকল ইনস্ট্রুমেন্ট, গোয়েন্দা সংস্থা, জনপ্রশাসনসহ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করেছে।

রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনএফ অন্ধকারে অদৃশ্য একটি রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট নামে ওই ভূঁইফোড় সংগঠনটির অস্তিত্বের খবর দেশবাসী জানে না। অথচ তাকে ৪২তম দল হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছে কমিশন। পোড়ো ধ্বংসস্তূপে লুকিয়ে থাকা নাম না জানা এক অশরীরি প্রেতাত্মা বিএনএফের নামে সারাদেশের ৩ শ আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশেই বিএনএফকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে বলে বিএনপি মনে করে। কারণ নামের ‘সমধ্বনির’ সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এরা বিএনপির প্রতীক, ১৯ দফা এবং জিয়াউর রহমানের ছবিও ব্যবহার করেছে।

রিজভী বলেন, বারবার অভিযোগ করার পারও নির্বাচন কমিশন বিএনএফকে নিবন্ধন দেয়ায় বিএনপি বিস্মিত। তারা কোনো অভিযোগই গ্রাহ্য করেনি। বরং বিএনএফকে নিবন্ধন দিতে কমিশন তিন দফা সুযোগ দিয়েছে। অথচ অনেক দল রয়েছে যারা নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য তাদের নিবন্ধন দেয়া হয়নি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের ‘তাবেদার’, ‘আজ্ঞাবহ’। সরকার যে গণতন্ত্র বিনাশী কার্যক্রম চালাচ্ছে- নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ববান এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। আগামী সাধারণ নির্বাচন এই কমিশনের অধীনে হলে তারা সরকারের পক্ষে ফলাফল পূর্ব নির্ধারিত (প্রি-এ্যারেঞ্জ) করে রাখার সম্ভাবনা আছে। এই কমিশন ‘মোসাহেবি’র চরম মাত্রায় পৌছে গেছে। এরা এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অংশ। ভবিষ্যতে অবৈধকে বৈধ করার সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য কমিশনকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।

এ সময় রুহুল কবির রিজভী নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেন।

(দিরিপোর্ট/টিএস/এসবি/এমডি/নভেম্বর ১৯, ২০১৩)