দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে মারপিট করে আলোচনার ঝড় তোলেন ‘ডিসি হারুণ’। এবার ভিন্ন রূপে দেখা গেল তাকে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সফুকে এবার ডিবি হাজতখানায় খাতির-যত্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা।

তারা এই হারুণের সঙ্গে আগের হারুণের মিল খুঁজে পাচ্ছেন না। রাজনৈতিক পালাবদলের সন্ধিক্ষণে মহাজোট সরকারের এই বিশ্বস্ত পুলিশ অফিসারও কি বদলে যাচ্ছেন- এমন প্রশ্নই সাবার মুখে।

পুলিশ কর্মকর্তা হারুণ প্রথম আলোচনায় আসেন মহাজোট সরকারের শুরুর দিকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুককে মারধর করে। ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সব মহলে প্রশ্ন ওঠে।

এদিকে গত ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে বাংলা মটর এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ সপুকে আটক করে। তাকে পুরনো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার ৫ দিনের রিমান্ডে আনা হয়। ওই দিন রাতে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবাগ) হারুণ উর রশিদ বিনা অনুমতি নিয়ে সপুর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে যান। এক পর্যায়ে ডিবির হাজতখানার সামনে দাঁড়িয়ে সুপুর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কথা বালিয়ে দেন। এ সময় হাজত খানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের তিনি সপুকে দেখে রাখার নির্দেশ দেন।

ডিবির এক পুলিশ কর্মকর্তা দিরিপোর্টকে বলেন, ডিসি হারুণের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি তাৎক্ষণিক ডিবিরি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাদের জানানো হয়। সেসময় সপুর পরিবারের সদস্যদের বাইরে যেতে বলা হয়। এ সময় হারুণকে ডিবি কর্মকর্তারা উচ্চস্বরে কথা বলেন। একই সঙ্গে ঘটনাটি ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদকে জানানো হয়। ঘটনাটি তদন্ত করার পাশাপাশি ডিসি হারুণকে শোকজ করার নির্দেশ দেয়া হয় বলেও অসমর্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে।

ডিবি সূত্র আরো জানায়, সফু ও হারুণের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র ধরে ভালো সর্ম্পক রয়েছে। সে সুবাদে ডিবি কার্যালয়ে সফুকে দেকভাল করার চেষ্টা চালান হারুণ। কিন্তু ডিবির কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া সফুর সঙ্গে কথা বলায় ডিএমপির পুলিশ কর্তারা হারুণের প্রতি রুষ্ট হয়েছেন।

এ বিষয়ে ডিসি হারুণ বলেন, ‘একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ডিবি কার্যালয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। প্রতিদিনই ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাই। যদি ডিবি কার্যালয়ে যাওয়া আমার জন্য নিষিদ্ধ থাকতো তাহলে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলে শোকজ করার প্রশ্ন আসতো।’

(দিরিপোর্ট/কেজেএন/এমডি/নভেম্বর ১৯, ২০১৩)