দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : সর্বদলীয় সরকারের নামে কার্যত মহাজোট সরকারকেই পুনর্গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সাতটি বামদলের জোট গণতান্ত্রিক বামমোর্চার নেতারা।

মঙ্গলবার দুপুরে তোপখানা রোডের নির্মল সেন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বামমোর্চার নেতারা বলেছেন, সোমবার সর্বদলীয় সরকারের নামে মহাজোটেরই তিন দলের আট মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, যা দেশকে আবার নতুন সংকটে ফেলে দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের সমন্বয়কারি সাইফুল হক। তিনি বলেন, এই সরকারের গায়ে সর্বদলীয় সরকারের লেভেল লাগানো হলেও এটা সরকারি দল আওয়ামী লীগের অনুগত শরীকদের নিয়ে গঠিত। এটা নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে এই সরকারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের কর্তৃত্বেই পরিচালিত হবে।

সাইফুল হক বলেন, এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে প্রধানমন্ত্রীর ‘কথিত’ এই সর্বদলীয় সরকারে ভেড়াতে কত উৎকোচ দিতে হয়েছে তা নিয়ে দেশবাসীর মনে বিরাট কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের এসব তৎপরতা তাদের রাজনৈতিক বিরোধীদের বাইরে রেখে একতরফা নির্বাচনেরই পাঁয়তারা, বিরোধী দলসমূহকে বাইরে রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের এসব রাজনৈতিক কুটকৌশল দেশবাসী গ্রহণ করবে না।

সংবাদ সম্মেলনে মোর্চার নেতারা বরিশালের চর কাউয়ায় ১৪ ও ১৫ নভেম্বর সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ও মন্দির আক্রান্তের স্থান সরেজমিনে পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন এবং অবিলম্বে ঘাতকদের গ্রেফতার, বিচার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন।

মোর্চার নেতারা সময় একেবারে ফুরিয়ে যাবার আগে দেশে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সংকট কাটিয়ে উঠতে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান, বাসদ নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারি জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, মোর্চার মহিনউদ্দীন চৌধুরী লিটন, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, এড. আব্দুস সালাম, বহ্নিশিখা জামালী, সাজ্জাদ সোহরাব, ফখরুদ্দীন আতিক প্রমুখ।

(দিরিপোর্ট/এসএ/এসবি/নভেম্বর ১৯, ২০১৩)