ওয়াসার ৭৮ ভাগ পানিই ভূ-গর্ভস্থ : আশরাফ
দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা ওয়াসার উৎপাদিত পানির শতকরা ৭৮ ভাগই ভূ-গর্ভস্থ। বাকি ২২ ভাগ ভূ-পরিস্থ উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে মঙ্গলবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা জানান।
তিনি বলেন, ভূ-গর্ভস্থ উৎস থেকে পানি উত্তোলনের ক্ষেত্রে দূষণের কোন সুযোগ নেই। ভূ-পরিস্থ উৎসের ক্ষেত্রেও উৎপাদিত পানি সরবরাহের পূর্বে অত্যাধুনিক শোধনাগারে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শোধন করা হয়ে থাকে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানোত্তীর্ণ। গ্রাহকের রিজার্ভ ট্যাংক নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ময়লা জমে কখনও কখনও পানি দূষণের সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া পুরানো লাইনে ছিদ্র থাকলে বা পানির অবৈধ সংযোগ নেওয়া হলে সরবরাহ লাইনে ছিদ্র তৈরি হওয়ায় সরবরাহকৃত পানিতে দূষণ ঘটতে পারে।
মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসা দক্ষিণ কোরিয়া এবং বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় সাভারে ‘তেতুলঝরা-ভকুর্তা ওয়েলফিল্ড নির্মাণ প্রকল্প’ গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দৈনিক ১৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন সম্ভব হবে। এছাড়া ঢাকা ওয়াসা চীন ও বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় পদ্মা নদী থেকে দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি আনার লক্ষ্যে ‘পদ্মা জশলদিয়া পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প’ হাতে নিয়েছে।
নাছিমুল আলম চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে বিএমডিএফের আর্থিক সংশ্লিষ্টতায় কাকরাইল মসজিদ হতে নটরডেম কলেজ মোড় পর্যন্ত রাস্তায় পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে সূর্যের আলো, সোলার প্যানেলের আকৃতি ইত্যাদি বিবেচনা করে এক দশমিক ৮ কিলোমিটার রাস্তা, ৬১টি পোলে, ১২২টি সোলার প্যানেলযুক্ত ৬০ ওয়াট এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে।
মো. হারুনুর রশিদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, পল্লী এলাকায় প্রতি ৯৩ জনের জন্য একটি পানির উৎস নিশ্চিত করা হয়েছে। এসব উৎসের ক্ষমতা ৮২ শতাংশ থেকে ৮৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।
(দিরিপোর্ট/আরএইচ/এইচআর/এমএআর/নভেম্বর ১৯, ২০১৩)