সর্বদলীয় সরকারে ‘অনির্বাচিতরা’
দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন না কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন রয়েছে এমন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সর্বদলীয় সরকারে আসতে পারেন। এই সরকারে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বাড়াতে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র দিরিপোর্টকে জানিয়েছেন।
সূত্রগুলো বলছে, সমালোচনা হতে পারে ‘সর্বদলীয় সরকার হচ্ছে জোট-মহাজোটের সরকার’। এমন সমালোচনা ঠেকাতে এবং রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বাড়াতে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা সর্বদলীয় সরকারে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন না কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন রয়েছে এমন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা গেছে, নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া কাউকে সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রী করার বিষয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা না থাকায় এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি পাওয়া গেছে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, সিপিবি-বাসদ, বিকল্পধারা, এলডিপি, তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), জাসদসহ (রব) কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগের কাজ চলছে। এছাড়া সর্বদলীয় সরকারে জোট-মহাজোটের বাইরেও আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দলের অংশীদারিত্বের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলেরও চাপ রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেন, কী হয় তা এখনো সঠিকভাবে বলতে পারছি না। দেখা যাক, তবে অনির্বাচিত কেউ আসলে উপদেষ্টা হতে পারেন।
জাসদের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, সর্বদলীয় সরকারে থাকা নিয়ে আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।
তিনি আরো বলেন, সর্বদলীয় সরকার একটি ‘বোগাস’ জিনিস। এটি সংবিধানে নেই।
তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে আমি বলেছি, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে এমন কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সরকারে অন্তর্ভুক্ত করতে। তাহলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ও তরিকত ফেডারেশন এই সরকারে থাকার ইচ্ছা পোষণ করেছে। ইসলামী চিন্তাধারায় রাজনীতি করে কিন্তু অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ চর্চা করে এমন একজনকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টিও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতা পরামর্শ দিয়েছেন, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে যারা কম তৎপর তাদের থেকে দু-একজনকে বাদ দিয়ে অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা ও আন্তর্জাতিক উপদেষ্টাকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন হতে পারে। কাউকে বাদ দিয়ে, নতুন কাউকে অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
(দিরিপোর্ট/টিএম/এমএআর/নভেম্বর ২০, ২০১৩)