কুমিল্লা সংবাদদাতা : পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে কুমিল্লার ৪৭৩ জন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে এমন ব্যক্তিদেরও নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচি ও সহিংসতার আশঙ্কাকে কেন্দ্র করে এই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা জনমনে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। একই সঙ্গে নিজ দলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে অস্ত্রবাজিও করতে পারে তারা।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে। জামিনে রয়েছে এমন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের প্রতিও পুলিশ নজর রাখছে।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী বলেন, সামনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের নতুন তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পুলিশ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সাবেক ছাত্রনেতা, কাউন্সিলর, অস্ত্র ব্যবসায়ী, ঠিকাদার ও মাদক ব্যবসায়ীদের কঠোর নজরদারিতে রেখেছে।

জেলার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার ১৬ থানায় তালিকাভুক্ত মোট সন্ত্রাসীর সংখ্যা ৪৭৩ জন। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় ১১৩, সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ৫৫, চৌদ্দগ্রামে ৩৭, নাঙ্গলকোটে ১৫, লাকসামে ১৮, চান্দিনায় ২০, বুড়িচংয়ে ৪৭, দেবীদ্বারে ২৭, দাউদকান্দিতে ২৭, মনোহরগঞ্জে ১০, মুরাদনগরে ৩৬, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৭, তিতাসে ১২, বরুড়ায় ১৮, মেঘনায় ১৬ ও হোমনাতে ১৫ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী রয়েছে।

এদিকে নগরীর কাপড়িয়াপট্টির নবক্লথ স্টোরের সামনে ২৮ অক্টোবর দুপুর ১২টায় মাথা-মুখে হলুদ গামছা মুড়িয়ে এক যুবক বাম হাতে রাইফেল নিয়ে প্রতিপক্ষকে তাড়া করে। ঘটনার পর থানায় মামলা হলেও পুলিশ অস্ত্রধারীকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধরতে তৎপর নয়।

(দিরিপোর্ট/এমএইচও/এমএআর/নভেম্বর ২০, ২০১৩)