দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : গৃহকর্মী রিতা আক্তারের (১৩) মরদেহের ময়না তদন্তে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসানকে প্রধান করে বুধবার এ বোর্ড গঠন হয়। বোর্ডের অপর দুই সদস্য হলেন ডা. আবু সামা ও ডা. আবুল খায়ের।

গত সোমবার দুপুরের দিকে পূর্ব শেওড়াপাড়ার ৯১১/১ এনএসবি আটতলা ভবনের নিচ থেকে রিতার মরদেহ উদ্ধার করে কাফরুল থানা পুলিশ। রিতা ওই ভবনের ডি-৭ সোনিয়া আক্তার মুন্নির ফ্ল্যাটে গৃহপরিচারিকার কাজ করত। পুলিশের ধারণা রিতাকে নির্যাতনের পর ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৃহকর্ত্রী সোনিয়া আক্তার মুন্নি অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন এবং ছাদ থেকে পড়ে রিতার মত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন। তার এ কথার সঙ্গে বাস্তবতার মিল না পাওয়ায় অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুন্নিকে আটক করা হয়। মুন্নির স্বামী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুবউদ্দিন বর্তমান সুদানে কর্মরত রয়েছেন।

রিতার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার খোলাপাড়া গ্রামে। তার মায়ের নাম সাজেদা বেগম। প্রায় এক বছর আগে রিতা ওই বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ শুরু করে।

(দিরিপোর্ট/ডি/এপি/এমডি/নভেম্বর ২০১৩)