দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট রেগুলেশন, ২০১৩ অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের ট্রেডিং সার্টিফিকেট দেওয়ার লক্ষ্যে এ রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বিএসইসি-র ৫০০তম নিয়মিত কমিশন সভায় স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বুধবার বিকেলে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট রেগুলেশন অনুমোদনের বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ নভেম্বর বিএসইসি-র কমিশন সভায় উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া হয়। এ রেগুলেশন অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) খসড়া ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিমের সঙ্গে খসড়া ট্রেডিং রাইটস এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট রেগুলেশন কমিশনে দাখিল করে। দাখিলকৃত তথ্যাদি নিয়ে বিএসইসি-র ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন তদারকি কমিটি ট্রেক নিয়েও আলোচনা করে। পাশাপাশি কমিশনের পরামর্শক এনডি উইলসনের মতামত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সার্বিক দিক বিবেচনা করে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া হয়।

অপরদিকে, একইদিনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) দেওয়া খসড়া ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম এবং ট্রেক রেগুলেশন যাচাই বাছাই করে কমিশন তা অনুমোদন দিয়েছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে সিএসই-র সিইও সৈয়দ সাজিদ হোসেন দিরিপোর্টকে বলেন, ট্রেডিং রাইটস এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট রেগুলেশন অনুমোদন হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। কারণ, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে বিএসইসি-র পক্ষ থেকে কোনো চিঠি হাতে পাইনি। তবে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন অনুসারে এ রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়ার কথা রয়েছে। আর ভবিষ্যতে এ রেগুলেশন অনুসরণ করে ব্রোকারদের ট্রেডিং সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।

(দিরিপোর্ট/এনটি/এইচকে/ এমডি/নভেম্বর ২০, ২০১৩)