ধানমন্ডিতে উড়ে গেল মোহামেডান

দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : উড়ে গেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব সুপারলিগে বুধবার নিজেদের প্রতিপক্ষ মোহামেডানকে হারিয়েছে ৪ উইকেটের ব্যবধান। জয়ের নায়ক শুভাশিষ রায়; তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেখ জামালের দারুণ সূচনা হয়েছে।
বিকেএসপিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডান শুভাশিষ রায়ের (৪/৩০) বোলিং তোপে ১৬৫ রানেই গুটিয়ে যায়। ৪৬ ওভারে অলআউটের আগে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা (৪৯) মোহামেডানের সম্মান বাঁচিয়েছে। একই সময়ে ৪৮ রান করতেই ৬ উইকেট হারিয়েছে মোহামেডান। সেখান থেকে মাশরাফি দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। শুভাশিষের সঙ্গে ৩ উইকেট নেওয়া তানভির হায়দারের বোলিং নৈপুণ্যও যোগ হয়েছে।
মাশরাফি মোহামেডানের যেমন হাল ধরেছেন, ঠিক তেমনি শেখ জামালের হাল ধরেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বাজিমাত করেছেন মুশফিকই। অপরাজিত ৪৪ রান করে দলকে ৩৪.২ ওভারেই জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন। দল শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৬৭ রান তুলে সুপারলিগে প্রথম জয়ও পেয়ে যায়। সুপারলিগে এদিন যে তিনটি ম্যাচ হয়েছে এরমধ্যে শেখ জামালই প্রথম জয় তুলে নিয়েছে।
সংক্ষিপ্তস্কোর
মোহামেডান : ১৬৫/১০; ৪৬ ওভার (মাশরাফি ৪৯, মুক্তার ২৬, প্যাটেল ২৩; শুভাশিষ ৪/৩০, তানভির ৩/২৬)। শেখ জামাল : ১৬৭/৬; ৩৪.২ ওভার (মুশফিক ৪৪*, জহুরুল ৩৩, জুনায়েদ ২১; রহমত ৩/৩৮)। ফল : শেখ জামাল ৪ উইকেটে জয়ী।ম্যাচ সেরা : শুভাশিষ রায় (শেখ জামাল)।
গাজীরবড় জয়ে যাত্রা শুরু
গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স সুপারলিগে প্রথম ম্যাচেই বড় জয় পেয়েছে। কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির (সিএ) বিপক্ষে তারা ১৪২ রানের ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৫০ ওভারে ৩৩৭ রান করে গাজী ট্যাংক। এটা লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে যে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব লীগ পর্বে সর্বোচ্চ ৩৫৩ রান করেছিল তাও এই কলাবাগান সি’র বিপক্ষেই। রকিবুল হাসান একাই অপরাজিত ৯৮ রান করেন। দুর্ভাগ্য আর একটি বলও ছিল না। আর ২ রান করতে পারলেই সেঞ্চুরি পেতেন রকিবুল। রকিবুলের সঙ্গে ইমরুল কায়েস ৬৪, হল্যান্ডের ডয়েশচেট অপরাজিত ৫৪ ও আফতাব আহমেদ ৫৩ রান করেছেন। রকিবুল ও ডয়েশচেটের পঞ্চম উইকেটে ১২৪ রানের ও ওপেনিং জুটিতে ইমরুল-আফতাবের ১১৪ রান যোগ করেছে গাজী। ইয়ন মরগান ব্যাট হাতে নেমেও অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেননি। ১১ রানেই আউট হয়েছেন তিনি।
এ রান অতিক্রম করতে গিয়ে কলাবাগান সিএ’র ইনিংস ৪৫.৩ ওভারে ১৯৫ রানে সমাপ্তি ঘটে। দেওয়ান সাব্বির ইনজুরিতে পড়ায় শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতে পারেননি। আর তাই কলাবাগান সিএ’র ৯ উইকেট পড়াকেই অলআউট হিসেবে ধরা হচ্ছে। শুরুতে শরীফুল্লাহ দলকে (৫৫) এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাহস দেখালেও বাকি ব্যাটসম্যানরা তাল মেলাতে পারেননি।
গাজীট্যাংক : ৩৩৭/৪; ৫০ ওভার (রকিবুল ৯৮*, ইমরুল ৬৪, ডয়েশচেট ৫৪*, আফতাব ৫৩, মাহমুদুল্লাহ ৩৮।
কলাবাগানসিএ : ১৯৫/৯; ৪৫.৩ ওভার (সাগীর ৭০*, শরীফুল্লাহ ৫৫; আরাফাত ৩/৪৫)।
ফল : গাজী ট্যাংক ১৪২ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : রকিবুল হাসান (গাজী ট্যাংক)।
প্রাইম দোলেশ্বরের শুভ সূচনা
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫৬ রানে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে সুপারলীগে শুভ সূচনা করেছে প্রাইম দোলেশ্বর। দুই প্রাইমের লড়াইয়ে অবশেষে জিতেছে দোলেশ্বর।
ফতুল্লায় ম্যাচটিতে দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়েছেন ফরহাদ রেজা। আগে ব্যাট করে মেহেদি মারুফের ৪৯ রানের সঙ্গে ফরহাদ রেজার ৪৩ রানে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৪ রান করে প্রাইম দোলেশ্বর। এনামুল হক জুনিয়র ৩ উইকেট নেন। এ রানের জবাব দিতে গিয়ে প্রাইম ব্যাংককে যেন এদিন চেনাই যায়নি। যে দলটি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মত দল গড়েছে তারা কিনা ৪৯.৩ ওভারে গিয়ে ১৮৮ রান করে অলআউট হয়ে গেছে! শিহান ৪৫ ও মাহমুদুল হাসান ৩৪ রান করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বল হাতেও দুর্বার ফরহাদ রেজা। ৩ উইকেট নিয়ে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন।
দোলেশ্বর : ২৪৪/৭; ৫০ ওভার (মেহেদি ৪৯, ফরহাদ ৪৩; এনামুল জুনিয়র ৩/৫৩)।
প্রাইমব্যাংক : ১৮৮/১০; ৪৯.৩ ওভার (শিহান ৪৫, মাহমুদুল ৩৪; ফরহাদ ৩/৩৩)।
ফল : প্রাইম দোলেশ্বর ৫৬ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ফরহাদ রেজা (প্রাইম দোলেশ্বর)
(দিরিপোর্ট২৪/এএস/এইচএসএম/নভেম্বর ২০, ২০১৩)