বাংলাদেশের চালেও আর্সেনিক
আহাম্মদ উল্লাহ সিকদার, দিরিপোর্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের চালের মধ্যেও আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পিএলওএস ওয়ান নামক একটি বিজ্ঞান সাময়িকী সম্প্রতি তাদের একটি গবেষণায় এমন দাবি করেছে। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার মানুষের উপর পরিচালিত ওই গবেষণায় সাড়ে চার হাজার মানুষের শরীরে আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু খাবার পানি নয়, খাদ্য হিসেবে ভাত গ্রহণের মাধ্যমেও শরীরে আর্সেনিক ঢুকতে পারে। তবে চালের মধ্যে আর্সেনিকের উপস্থিতি নির্ভর করে সেচের পানির উপর। কারণ যেসব এলাকার আর্সেনিকযুক্ত পানি সেচের কাজে ব্যবহার করা হয়, সেখানেই আর্সেনিকের এই উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ভৌগোলিক অবস্থান ও কী ধরনের চাল উৎপন্ন করা হয়, এর উপরও আর্সেনিকের উপস্থিতি নির্ভর করে।
বাংলাদেশের চালে প্রাথমিক ধারা আর্সেনিক অর্থাৎ ইনঅর্গানিক আর্সেনিক (ইনএএস) পাওয়া গেছে। এ ধরনের আর্সেনিকের কারণে ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। ভাত গ্রহণের সঙ্গে এই আর্সেনিক শরীরে ঢুকে যায়। তবে এর প্রভাব ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। বিশ্বব্যাপী পরিচালিত বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের ইনঅর্গানিক আর্সেনিকযুক্ত চাল বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত হচ্ছে এবং সেগুলো বিক্রি ও খাওয়া হচ্ছে।
এদিকে ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের শরীরেও আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। কারণ তাদের অন্যতম প্রধান খাবার হচ্ছে ভাত। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ২২৯ গর্ভবতী নারীর উপর পরিচালিত এক গবেষণায় তাদের শরীরে আর্সেনিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
(দিরিপোর্ট/আদসি/এএস/নভেম্বর ২১, ২০১৩)