৯০ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক চায়
খালেদা জিয়া আরও বলেন, "তিনি (শেখ হাসিনা) এখন কোর্টের দোহাই দিচ্ছেন। কিন্তু কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল আরো দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হতে পারে। আর এ বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে বলা হয়েছিল কোর্টের রায়ে। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেননি। এমনকি এ বিষয়ে সুশীল সমাজের মতামতও গ্রহণ করেননি।তিনি (শেখ হাসিনা) নিজের মতো করে সংবিধান সংশোধন করেছেন। যাতে তিনি আজীবন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন যোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, "এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। হবে না। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।"
এ সময় তিনি বলেন,“আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছি, বাকশাল নয়। তারা চায় একদলীয় শাসন, মানে বাকশাল। কিন্তু তা আর হতে দেয়া হবে না।”
বিএনপির নতুন ধারার সরকার সম্পর্কে সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, "সময় এলেই এ বিষয়ে বলবো।"
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ ৯০ দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আগামী দশম জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। ২০১১ সালে উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার পর সংবিধানে এই সংশোধনী আনা হয়। সে হিসেবে বর্তমান নবম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আগামী ২৭ অক্টোবর। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী গত ২ সেপ্টম্বর সোমবার সচিবালয়ে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারি শেষ হবে। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ৯০ দিনের মধ্যে যেকোনো দিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ে সংসদ থাকবে, তবে কোনো অধিবেশন বসবে না এবং সরকার কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না।