শারদোৎসবে সেজেছে পুরান ঢাকা
শুক্রবার শারদীয় দুর্গাপূজার মহাসপ্তমী হলেও সকাল থেকে মণ্ডপগুলোতে ধর্মপ্রাণ হিন্দু সম্প্রদায়ের দর্শনার্থীদের সমাগম ছিলো চোখে পড়ার মতো। মধ্যবয়সী হিন্দু রমনীদের পূজামণ্ডপে দেবীর পায়ে অঞ্জলি দিতে, প্রসাদ গ্রহণ করতে দেখা গেছে। এ সময় অন্যান্য দেবীর দর্শন ও প্রণাম করেন ভক্তরা।
সরজমিন পূজামণ্ডপগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, বড়দের পাশাপাশি মণ্ডপগুলোতে ছোট বাচ্চাদের সমাগম ছিলো বেশি। সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানী প্রাচীনতম কালীমন্দির ঢাকেশ্বরীতে গিয়ে দেখা যায়, পূজা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে পলাশীর বুয়েট কাঁচাবাজারের রোডটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঢাকার বৃহৎ এই কালিমন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, সব বয়সী নারী-পুরুষ দেবীর চরণে অঞ্জলী প্রদান করছেন এবং মন্দিরের পুরোহিতের কাছ থেকে প্রসাদ গ্রহণ করছেন। মন্দিরের আশপাশে পূজাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে রকমারি খাবারের দোকান। রয়েছে বাচ্চাদের খেলনা, রমনীদের প্রসাধনী, চুড়ি-ফিতার দোকান। তবে খাবারের দোকানগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল বেশি।
মন্দিরে আগত সকলেই পূজার নতুন পোশাকে সজ্জিত। ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে খেলনা, ঢোল-ঢাকর, বেলুন শোভা পাচ্ছিল। মন্দিরে ঢুলির ঢোল আর কাসার ঘন্টার শব্দ দুর্গোৎসবের আমেজে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।
দুপুর ১২টায় পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার কালিমন্দিরে গিয়ে একই চিত্র দেখা গেছে। এ মন্দিরে যেতে হলে দর্শনার্থীদের পায়ে হাটতে হবে অনেকটা পথ। দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ মণ্ডপে প্রবেশের সকল পথ সাধারণ যানবাহনের চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখানেও সব বয়সী দর্শনার্থীদের আগমন ছিল চোখের পড়ার মতো।
মন্দিরে প্রবেশের রাস্তা আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, অঞ্জলী প্রদান, প্রসাদ গ্রহণ কার্যক্রম চলছে। দেবীর পায়ের কাছে বিভিন্ন ধরনের প্রসাদের থালা সাজানো রয়েছে। এ সময় নিরাপত্তায় নিয়োজিত র্যাব ও পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
তাঁতীবাজার রোড হয়ে সংকরি বাজার রোড দিয়ে পানিটোলা রোডে যাওয়ার পথে আরো দুটো অস্থায়ী মণ্ডপ চোখে পড়ে। সেখান থেকে শাখারীবাজার কালিমন্দিরে গিয়েও একই চিত্র দেখা যায়। তবে পূজার প্রথম দিন হওয়ায় সেখানে দর্শনার্থীর সমাগম তেমন নেই। এখানেও আলোকসজ্জার ছড়াছড়ি।
(দিরিপোর্ট২৪/ আরএইচ/এমএআর/অক্টোবর ১১, ২০১৩)