সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আবু রায়হান (৪২) উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি পারুলিয়া গ্রামের মৃত রকিবউদ্দিন গাজীর ছেলে।

দেবহাটা থানার এসআই আব্দুল আজিজ জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পারুলিয়া বাজারে তাকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা হত্যাকারীদের জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী বলে দাবি করেছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আবু রায়হান কয়েকজন লোকজন নিয়ে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া বাসস্টান্ডের কাছে মোমেনা বস্ত্রালয়ের সামনে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ১০/১২ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত রাম দা নিয়ে এসে হঠাৎ তার ওপর হামলা করে। এ সময় তিনি দৌড়ে পারুলিয়া বাজরের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে এলাপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে বাজারের মোমেনা বস্ত্রালয়ে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পাননি তিনি। সন্ত্রাসীরা রায়হানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি জামায়াত-শিবিরের কাজ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি জানান, সন্ধ্যার পর থেকে তিনি ও রায়হান দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে পারুলিয়া বাজারে বসেছিলেন। রাত ৮টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে রায়হান বাজারের অন্য প্রান্তে যান। এর কিছু সময় পর সশস্ত্র জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা মুখে কাপড় বেঁধে রায়হানকে তাড়া করে। জীবন বাঁচাতে রায়হান পারুলিয়া বাজারের মোমেন বস্ত্রালয়ে ঢুকে পড়ে। সেখানেই উপর্যুপরি কুঁপিয়ে ও গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

সম্প্রতি স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা রায়হানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল বলে জানান তিনি।

দেবহাটার এসআই আজিজ বলেন, সম্প্রতি হরতালের দিনে পারুলিয়া বাজারে আবু রায়হানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ভাংচুর চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এঘটনায় তিনি বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ওই মামলার সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্র থাকতে পারে।

(ওএস/জেএম/নভেম্বর ২২, ২০১৩)