শরীয়তপুর সংবাদদাতা : শরীয়তপুরের ৩টি আসনে আওয়ামী লীগের ২৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই নিজ এলাকায় গিয়ে প্রচারনাও শুরু করেছেন।

এদের মধ্যে শরীয়তপুর-১ আসনে ১৬ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শরীয়তপুর-১ আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য বিএম মোজ্জাম্মেল হক। শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহ-সভপতি মোবারক আলী শিকদার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আব্দুর রব মুন্সী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক মেহেদী জামিন, সাবেক এমপি মাষ্টার মজিবুর রহমান, মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক অপু উকিল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ও শরীয়তপুর সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিন্নাত হাবিব, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল হক কবিরাজ, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নূহুন মাদবর, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, দেলোয়ার হোসেন দবীর মাল, জাজিরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোসারফ হোসেন, সিংঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আলম মাদবর, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আলীম, এনামূল হক মুন্সী।

শরীয়তপুর-২ আসনে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার কনের্ল (অবঃ) শওকত আলী এমপি, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, নড়িয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান আর্ন্তজাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের অতিরিক্ত এর্টনী জেনারেল এ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ সিমন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য একে এম এনামুল হক শামীম, নড়িয়া উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে এম ইসমাইল হক।

শরীয়তপুর-৩ আসনে বর্তমান এমপি নাহিম রাজ্জাক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক বাহাদুর বেপারী, ন্যাশনাল ব্যাংকের নিবার্হী কমিটির চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিল্পপতি পারভীন হক শিকদার, সাবেক এমপি এম এ রেজার সহধর্মিনী সৈয়দা ফরিদা রেজা নুর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অনল কুমার দে, ক্যাপটেন মিজানুর রহমান, আবদুল করীম।

এদিকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন মনোনয়ন প্রার্থীরা। যাতে তারা আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয় লাভ করতে পারেন।

এদের মধ্যে অনেকেই নিজ নিজ এলাকায় এসে প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষদের কাছে গিয়ে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে জানাচ্ছেন তারা। নানা ধরনের প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নির্বাচনে শরীয়তপুরের ৩টি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় লাভ করে।

(দিরিপোর্ট/এএইচএস/এমসি/নভেম্বর ২৩, ২০১৩)