দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী নিজেকে সম্রাজ্ঞী করতেই পঞ্চদশ সংশোধনী করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

শনিবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার গণদাবি উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের চক্রান্ত করছে। আমরা সেই নীলনকশার নির্বাচন হতে দেব না। বর্তমান মন্ত্রিসভাকে অসাংবিধানিক দাবি করে তিনি বলেন, এই সরকার তার সকল বৈধতা হারিয়েছে। যে নির্বাচনে সবদলের অংশগ্রহণ নেই সেই নির্বাচন জনগণ সকল শক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাতানো নির্বাচন করতে পারবেন না। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মূহূর্তেই সারাদেশ অচল হয়ে যাবে। সারা বাংলাদেশে প্রস্তুতির ঢেউ লেগেছে। যদি আপনাদের বোধোদয় না হয় তাহলে করুণ পতনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

বিএনপির এই যুগ্মমহাসচিব বলেন, দেশে বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটের যে ঘুর্ণিপাকে চলছে সে বিষয়ে শেখ হাসিনা ভ্রুক্ষেপহীন। তিনি ভাবছেন বিরোধীদলের অসংখ্য লাশ ডিঙিয়ে তিনি তার লক্ষ্য হাসিল করতে পারবেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মূলনীতি এবং সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রধানমন্ত্রীর কাছে খুবই অপছন্দের। বাকশাল এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর পোশাকের রঙ একই। দেশের ক্ষমতার মসনদ চিরস্থায়ীভাবে আঁকড়ে ধরার জন্যই পঞ্চদশ সংশোধনী সংসদে পাশ করা হয়েছে।

রিজভী বলেন, ১৮ দল নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের জন্য ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে। আর এই কর্মসূচি অমানবিক কঠোরতায় দমন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। পাইকারি হারে হত্যা করেছে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের।

দেশে কোনো বিরোধীদল নেই- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, তিনি দলছুট নীতিহীন নেতা। স্বৈরাচার এরশাদের দোসর ছিলেন। বয়সের ভারে তিনি কখন কি কথা বলেন, তা বোধগম্য নয়।

(দিরিপোর্ট/টিএস/এপি/জেএম/নভেম্বর ২৩, ২০১৩)