‘তফসিলের পর নৌকা স্লোগানে উজ্জীবিত হবে দেশ’
আমানউল্লাহ আমান, দিরিপোর্ট : নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সারাদেশ নৌকা স্লোগানে উজ্জীবিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতৃবৃন্দ বিষয়টি দিরিপোর্টকে নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের বিক্ষোভ সমাবেশে জামায়াত নেতারা ৫৬ হাজার বর্গকিলোমিটার জ্বালিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমনি দেন। একই সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর দেশ অচল করে দেওয়া হবে’।
বিরোধীদলীয় জোটের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান নেতারা।
বৈঠকে উপস্থিত মহানগর আওয়ামী লীগের দুই নেতা দিরিপোর্টকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। তফসিল ঘোষণা করলে কেউ জ্বালিয়ে দেবে আবার কেউ দেশ অচল করে দেবে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর ৫৬ হাজার বর্গমাইল নৌকার স্লোগানে উজ্জীবিত থাকবে।
মহানগর আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বিরোধী দল বলছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে নাকি দেশ অচল। আমরা বলতে চাই, যেদিন তফসিল ঘোষণা করবে সেদিন থেকেই নৌকার স্লোগানে সারাদেশ উজ্জীবিত করে রাখা হবে। তারা (বিরোধী দল) বলছে, ৫৫ হাজার বর্গমাইলেই আগুন দেবে। আমি আপনাদের বলতে চাই যারা আগুন দিতে চায় তাদের মাথায় পানি ঢালার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী দিরিপোর্টকে বলেন, তফসিল ঘোষণা করলে তারা নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্র করছে। সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে আমাদের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকবে।
আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। আমরা শুধু তাদের সহায়তা করবো। নির্বাচন কমিশনকে সহয়তা করাই নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার মূল লক্ষ্য।
বিরোধীদলকে সংঘাতের পথ পরিহার করে নির্বাচনের পথে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের একমাত্র পথ নির্বাচন। নির্বাচনে অংশ নিন। জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই সরকার গঠন করবে। জনগণ যাকে চায় তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন।
বর্ধিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
(দিরিপোর্ট/এইউএ/এসবি/জেএম/নভেম্বর ২৩, ২০১৩)