অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে টনি অ্যাবোটের নেতৃত্বাধীন লিবারেল-ন্যাশনাল জোট জয়লাভ করেছে। শনিবার ভোট গণনা শেষে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড নিজ দলের পরাজয় স্বীকার করে নতুন সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার ঘোষণা দেন।

অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে টনি অ্যাবোটের নেতৃত্বাধীন লিবারেল-ন্যাশনাল জোট জয়লাভ করেছে। শনিবার ভোট গণনা শেষে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড নিজ দলের পরাজয় স্বীকার করে নতুন সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার ঘোষণা দেন।

লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের ছয় বছরের শাসনের পর শেষ পর্যন্ত লিবারেল পার্টিই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশটির ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, লিবারেল পার্টির নেতা অ্যাবোটই হতে যাচ্ছেন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে প্রায় ১ কোটি ৪৭ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

এবারের ভোট দেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে এটিকে রেকর্ড আখ্যা দেয় দেশটির নির্বাচন কমিশন।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় টনি অ্যাবোট বলেন, “আমরা উপযুক্ত ও আস্থাশীল একটি সরকার গঠনের দিকে এগিয়ে যাবো।”

উৎফুল্ল জনতাকে উদ্দেশ করে অ্যাবোট বলেন, “আমি ঘোষণা করছি আজ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন ধরনের শাসন-ব্যবস্থা কায়েম হবে। উন্মুক্ত করা হবে সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য।”

অ্যাবোট তার নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, তিনি অপচয় বন্ধ করে একবিংশ শতাব্দীর জন্য নতুন পথ তৈরি করবেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় অ্যাবোটের গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলোর মধ্যে ছিল কর্পোরেট দূষণ কর ও খনি থেকে অর্জিত লাভের ওপর কর বাতিল করা, কর্মীদের সবেতন মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার পরিকল্পনাসহ শক্তিশালী অর্থনীতির ওপর জোর দেয়া।
২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন লেবার পার্টির জুলিয়া গিলার্ড। গত জুনে লেবার পার্টি প্রধানের পদ থেকে গিলার্ড অবসর নিলে দলের প্রধানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান কেভিন রাড।

নির্বাচনের আগে প্রাথমিক জনমত জরিপের ফল বলেছিল, ক্ষমতাসীন দলের চেয়ে বিরোধী দল ৫২ শতাংশ মানুষের সমর্থনে এগিয়ে রয়েছে।

এবারের নির্বাচনের আগে উভয় দলের প্রচারণাতেই অর্থনৈতিক পরিবর্তনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। রাড তার নির্বাচনী প্রচারণায় লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে অর্থনৈতিক সাফল্যের ওপর জোর দেন।