স্বপ্ন শেষ শেখ জামালের
দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : ক্রিকেট লিগের এবারের আসরের শিরোপা স্বপ্ন শেষ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। অথচ দলটি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দলই গড়েছিল। শনিবার গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সের কাছে তারা হেরেছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ম্যাচ জিতে এখনও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে গাজী। গাজীর ২০ পয়েন্ট। আর শেখ জামালের ১৬ পয়েন্ট।
অনেক সমীকরণের পরও যদি শেখ জামাল আর গাজীর পয়েন্ট সমান হয়ে যায়; তখন ‘হেড টু হেডে’ হিসেবে শেখ জামালের সম্ভাবনা থাকছে না। সুপার লিগে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের পর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবও শিরোপা রেশ থেকে ছিটকে গেল।
অথচ ফতুল্লায় ম্যাচটি এলটন চিগুম্বুরার অপরাজিত ১০৯ রানে স্কোরবোর্ডে ২৫৯ রান করেছিল। কিন্তু রকিবুল হাসানের অপরাজিত ৯০ ও ইমরুল কায়েসের ৮১ রানের কাছেই শেখ জামালকে হার মানতে হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গাজী ট্যাংক-শেখ জামাল ম্যাচ-ফতুল্লা
শেখ জামাল : ২৫৯/৯; ৫০ ওভার (চিগুম্বুরা ১০৯*, মুশফিক ৩৮; ডয়েশচেট ৩/৫৬)
গাজী ট্যাংক : ২৬০/৪; ৪৬.৪ ওভার (রকিবুল ৯০*, ইমরুল ৮১; ক্রুক ২/৪৬)
ফল : গাজী ট্যাংক ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: রকিবুল হাসান (গাজী ট্যাংক)
মোহামেডানের জন্য কঠিন হয়ে গেল
এক একটি করে ম্যাচ যাচ্ছে, আর শিরোপা রেশ থেকে একেকটি দল ছিটকে পড়ছে। হেরে কলাবাগান সিএ, প্রাইম ব্যাংক ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব শিরোপা রেশ থেকে ছিটকে পড়লেও; ব্যতিক্রম শুধু মোহামেডান।
শনিবার প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে ৭ উইকেটে সহজে হারলেও মোহামেডানের আলো টিমটিম করে জ্বলছে।
আর একটি ম্যাচ হারলে মোহামেডানেরও শিরোপা স্বপ্ন শেষ হবে। আর যদি টানা দুটি ম্যাচই জিতে তাহলে শিরোপা জেতারও সুযোগ থাকবে। তবে মোহামেডানের সঙ্গে জিতে প্রাইম দোলেশ্বর পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে। তাদের পয়েন্ট এখন ১৮। আর মোহামেডানের ১৬। প্রাইম দোলেশ্বর আরেকটি ম্যাচ জিতলে মোহামেডান পরপর দুটি ম্যাচ জিতলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারবেনা। প্রাইম দোলেশ্বর আরেকটি ম্যাচ জিতলে ২০ পয়েন্ট হবে। আর মোহামেডান পরপর দুটি ম্যাচ জিতলেও ২০ পয়েন্ট হবে। ‘হেড টু হেডে’ মোহামেডান পেছনে ফেলতে পারলেও প্রাইম দোলেশ্বরকে ফেলতে পারবেনা।
এত সহজ জয় পেয়ে যাবে দোলেশ্বর তা ভাবনাই করা হয়নি। অথচ দলটি কী দুর্বার খেলেছে। মোহামেডানকে পাত্তাই দেয়নি। ৪ উইকেট নেওয়া সাব্বির রহমানের সঙ্গে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া ফরহাদ রেজার দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে মোহামেডান ব্যাটসম্যানরা একেবারে নুইয়ে যায়। ৪২.৩ ওভারে ১৪৩ রান করতেই অলআউট হয়েছে মোহামেডান। এ রানের পর দোলেশ্বর যে আরাম-আয়েশ করেই জিততে যাচ্ছে তা আর বোঝার অপেক্ষা রাখেনা। শেষপর্যন্ত তাই হয়েছে। মেহেদীর ৪০, রনি তালুকদারের ৩৭ রানের পর মমিনুল হকের অপরাজিত ৩৩ রানে ম্যাচ জিতেছে প্রাইম দোলেশ্বর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান : ১৪৩/১০; ৪২.৩ ওভার (মুক্তার ৪৬, থারাঙ্গা ২৪; সাব্বির ৪/৩৯, ফরহাদ ৩/৯)।
প্রাইম দোলেশ্বর : ১৪৫/৩; ২৭ ওভার (মেহেদী ৪০, রনি ৩৭, মমিনুল ৩৩*, মালান ১৯*)।
ফল : প্রাইম দোলেশ্বর ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ফরহাদ রেজা (প্রাইম দোলেশ্বর)।
কলাবাগান সিএ’র বাজিমাত
দুই দলই শিরোপা রেশ থেকে ছিটকে পড়েছে। এখন লক্ষ্য শুধু প্রতিপক্ষকে হারানো। এমন ম্যাচেও দেখা গেছে উত্তেজনা। শনিবার মাত্র ৭ রানের জন্য প্রাইম ব্যাংক জিততে পারেনি। কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিই শেষপর্যন্ত বাজিমাত করেছে।
বিকেএসপিতে আগে ব্যাট করে কলাবাগান সিএ হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ১২৫ রানে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৫ রান করেছে। এত রান হওয়ার পরও রেজাউল করিম ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। প্রাইম ব্যাংকও এর জবাব দিয়েছে দারুণ। কিন্তু মাত্র ৭ রান বাকি থাকতেই জয়ের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় তাদের। অথচ রবি বোপারা একাই ১৩৮ রান করেছেন। তারসঙ্গে তৈয়বুর পারভেজ ৭৬ রান করে দলকে ২৯৮ রান পর্যন্ত নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। নাজমুল অপু ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়ে যান। মুলত তিনিই ম্যাচে কলাবাগান সিএ’কে জয় এনে দেন। শেষ ওভারে বোপারার উইকেটটি নিয়েই প্রাইম ব্যাংককে হারিয়ে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কলাবাগান সিএ : ৩০৫/৭; ৫০ ওভার (মাসাকাদজা ১২৫, মজিদ ৫৪, অভিষেক ৪৪; রেজাউল ৫/৫৪)।
প্রাইম ব্যাংক : ২৯৮/১০; ৫০ ওভার (বোপারা ১৩৮, পারভেজ ৭৬; নাজমুল ৫/৫৯)।
ফল : কলাবাগান সিএ ৭ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : নাজমুল অপু (কলাবাগান সিএ)
(দিরিপোর্ট/এএস/সিজি/নভেম্বর ২৩, ২০১৩)