দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কড়া সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার রাতে বেশ কয়েকজন ছাত্রদল নেতা দলের নেতাদের নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নিজেদের লেখায়।
কয়েকটি স্ট্যাটাস দিরিপোর্টের পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো (বানান রীতি স্ট্যাটাস লেখকের, কিছু অশালীন শব্দ বাদ দেওয়া হয়েছে) :
মাহবুব উদ্দিন জিমি নামের এক ছাত্রদল নেতা কয়েক বিএনপি নেতার নাম উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘‘বিএনপি আমাদের প্রাণের দল শত প্রতিকুলতার মাঝেও দলের টানে দেশের প্রয়োজনে পরিবার পরিজনকে রেখে রাজপথে জাঁপিয়ে পড়ি. মরতেও দিধাবোধ করে না বিএনপির কর্মীরা. কিন্তু খারাপ লাগে গুটি কয়েক নেতার কার্যকলাপ দেখলে. যাদের দিকে তাকিয়ে আছে বিএনপির আন্দোলনসংগ্রাম.
সাদেক হোসেন খোকা :-উনার একমাত্র কাজ হলো কয়েক দিন পর পর বিক্ষোব সমাবেশ ডাকা. আর প্রোগ্রাম ডাইকা চোরের মত আশা, চোরের মত যাওয়া.!
আব্দুস সালাম :-এই হালায় হইলো ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব. ...পোলা কোনো হহর্তালে নাই, কোনো মিচিলে নাই. প্রোগ্রামে মাইক একটা পাইলে তার একটাই কাম, নেতাকর্মীদের সাশানো 'বেনার বন্ধ কর'

মির্জা আব্বাস :-উনি হইলো প্রটোকল নেতা. ভাব দেখলে মনে হয়, খালেদা জিয়ার পর বিএনপিতে সবচেয়ে লাইফ রিস্ক তার. কামের বেলায় কোনো ...ও ছেড়ার ক্ষমতা নাই.

এমন উল্লাহ আমান :-৯০ সালে ছাত্র আন্দোলনের সিলমোহর বেইচা এখনো খাইতাছে. দলের দুর্দিনে ঘা ডাকা নেতা প্রোগ্রামে আসলে তার একটাই কাম সবার দুই হাত উপরে জাগানো এবং হাতে তালি দেয়ানো.
আমার মতে এই সব নেতাকে এই মুহর্তে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত. কারণ এই সব পোতা নাই আলা লোক দিয়ে আন্দোলন সম্ভব নয়.”
জিমির দেওয়া এই স্ট্যাটাসে প্রথম ঘণ্টায় লাইক পড়েছে ৪২জনের। এর মধ্যে বিএনপি ও ছাত্রদলের পদধারী নেতাও আছেন।

Wasi Khan লিখেছেন, ‘‘অনেক পালিয়ে এবং আপোষ করে চিলেন ত্যানারা । তাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। দেখা যাক এবার তাদের গর্জন কতটুকু কাজে দেয়? তারা ফেল মারলে আম জনতাই বিপলবের দায়িত্ব কাধে নিয়ে তাকে সফল করে ছাড়বে। এই সব নেতারা হাজারো কোটি টাকা কামাই করে দলের সাথে বেইমানী করলেও আম জনতার শক্তিই বাকশাল কে রুখবে । মীরজাফরেরা ডাস্টবিনে নিক্ষেপ হবেন এটাই বাস্তবতা।
RJ Swhan Rahaman Barrister Nasir Uddin Ahmed Ashim bai apnara doya kore medam ki jinish gulo bolen...je amader desher boro netader somporke amader moto sadharon kormi ra ki bhole....and onader ke kibhabe sroddha dey...pls ...ei dall diye unara kotipoti hoyeche....amra hote chai na ....tao chai je ei desh theke hasina sorkar ke poton korte hobe....unader boro kotha to kaje porichoy dey na....
একটা অনুরোধ, আপনারা এইগুলা medam এর কানে pochan. প্রতিবাদ করেন. আর ভাই কোনো প্রবলেম এর কারণে যদি আপনারা না পারেন, তাহলে আমাদের তৃণমূলের নেতাদের medam এর সাথে দেখা করে কথা বলার সুযোগ করে দেন. যেদিন পর্যন্ত medam তার আসেপাশের চামবাজদের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে না পারবে সেইদিন পর্জন্ত বিএনপির ঢাকা মহানগরীতে আন্দোলন সংগ্রাম জমবে না.
Mahtab Uddin ঔরসব আন্দোলন্ময় এই মুহূর্তে ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক হইয়া উনি ফেইসবুক ইউজ করার টাইম পাই কেমনে!!!??? ভাই দয়া করে উনার ফেইসবুক এর লিংকটা দেন.
Rakibul Hasan Rashed সালা মিঃ বেনার বন্দ করুন এই সালার পোলারে কেন যে বিএনপির ঢাকা মহানগর এর সদস্য সচিব করছে তা বুঝলাম না। ওতো ওয়াডের সদস্য সচিব হওয়ার যোগ্যতা নাই। মিজা আব্বাস এর পাট দেখলে মনে হয় সে মোঘল সম্রাট...
Mahtab Uddin ঔরসব আব্বাস মিয়ার সিকুরিটি গার্ড গুলারে কবেই মাইরা খেদায়া দিতাম, শুধু বিএনপি করে বলে লোকজন নিজের গসতে কামর দিয়া আছে, কিছু কয় না. আপনারা ওদের পাশে গিয়ে বলবেন শুধু পুলিশ, দেখবেন আব্বাস মিয়ারে রাইক্ষা পালাইয়া গেছে. আরে আব্বাস মিয়ারে মারতে আসলে তো বিএনপির সকল নেতা কর্মী বুক পাইত দিবই. সুতরাং নিজের দলের প্রোগ্রামেতো এত প্রটোকল নিয়ে আসার দরকার নাই তাইনা? ????

Rakibul Hasan Rashed কমিদের সহযোগিতার কারনেই ওরা আজ এত বড় নেতা কমচারিদের জন্য নয়।
লাষ্ট হরতালে কাজ করার সময় আমাদের নিউমাকেট থানার দুই সহযোদ্রা সাজেদ ও জামালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অসীম ভাই, দিপক ভাই, রওশন ভাই ছাড়া কোন সিনিয়র নেতা কেউ তাদের খবর নেয় নাই।

বিপরীতে মওদুদ আহম্মদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, শিমুল বিশ্বাস, সরাফত আলী শপু, সফিউল বারী বাবু ও হাবিবুর রশিদ হাবিব ভাইদের কার আগে কে খবর নেবে তা নিয়ে রিতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে এটাই এখন কার বিএনপির বাস্তবতা।”
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সোহাগ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের রঙিন পোস্টার সম্বলিত বক্তব্য দিয়ে লিখেছেন, আমান বলেছিলেন ২৫ নভেম্বর থেকে বর্তমান সরকার অবৈধ। ওই দিন থেকে দেশ চলবে খালেদা জিয়ার হুকুমে। আমরা থাকবো রাজপথে। আমান এখন কোথায় ??

(দিরিপোর্ট/টিএস/এইচএসএম/নভেম্বর ২৩, ২০১৩)