দিরিপোর্ট ডেস্ক : নিষেধাজ্ঞা কমানোর বিনিময়ে পরমাণু কর্মসূচি হ্রাসের ব্যাপারে অবশেষে তেহরানের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে বিশ্বের শক্তিধর ছয় দেশ।

জেনেভায় পাঁচদিনের আলোচনা শেষে এই সমঝোতায় আসে দুই পক্ষ। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। পূর্ণাঙ্গ চুক্তিটি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি তার টুইটারে জানান, ‘আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি।’ ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোরান ফাবিউসও সমঝোতায় পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক প্রধান ব্যারনেস ক্যাথরিন অ্যাশটন জানান, তারা একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের প্রথম পদক্ষেপের ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছেছেন।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘গোটা বিশ্বের জন্যই এটা ভালো খবর।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এর ফলে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ বন্ধ হবে।’

আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানি নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ বন্ধের দাবি জানিয়েছিল। তবে ইরান পরমাণু সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে জোর দিয়েছিল।

গত এক দশকের মধ্যে বিশ্ব শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের এই প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হলো বলে বিবিসি জানিয়েছে।

ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির উদ্দেশেই পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে বলে বার বার অভিযোগ করছিল পশ্চিমা দেশগুলো। তবে ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পরমাণু ইস্যুতে ৭ নভেম্বর আলোচনায় বসে ইরান ও বিশ্বের শক্তিধর ছয় দেশ। ওই আলোচনা থেকে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে না পারায় ২০ নভেম্বর ফের আলোচনা শুরু হয়।

আলোচকরা বুধবার থেকে দুইপক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য একটি চুক্তিতে আসার ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। শুক্রবার এই আলোচনা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উভয় পক্ষ কোনো সিদ্ধান্তে আসতে না পারায় সময়সীমা বাড়ানো হয়। আলোচনায় ফলপ্রসু করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও এই আলোচনায় যোগ দেয়।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ২০০৬ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ইস্যুতে দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।

(দিরিপোর্ট/কেএন/জেএম/নভেম্বর ২৪, ২০১৩)