সুবহানের অভিযোগ গঠনের আদেশ ১৮ ডিসেম্বর
দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আগামী ১৮ ডিসেম্বর আদেশ দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রবিবার আদেশের ওইদিন ঠিক করেন।
রবিবার জামায়াতে ইসলামীর এই নেতাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে করা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
অন্যদিকে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, সুবহানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগে কোনটিতেই আইনের শর্ত পূরণ করা হয়নি। যে এলাকার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে সেখান থেকে সুবহান দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, আব্দুস সুবহানের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া শান্তি (পিস) কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। কারণ তিনি কোথায় অপরাধ করেছেন তার তা সুনির্দিষ্ট করে রাষ্ট্রপক্ষ বলতে পারেনি।
এর আগে ২৩ অক্টোবর সুবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন। পরে আসামিপক্ষের শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দেন ট্রাইব্যুনাল।
১৯ সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
১৫ সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে ৮৬ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেন প্রসিকিউশন।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রসহ ৮ ধরনের ৯টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে সুবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ১২ সেপ্টেম্বর তা শেষ করে তদন্ত সংস্থা।
তদন্তের স্বার্থে ১ সেপ্টেম্বর সেফহোমে নিয়ে সুবহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত সংস্থা।
৯টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৪৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে সুবহানের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকালে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে সুবহানকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
(দিরিপোর্ট/এআইপি/এসবি/এমডি/নভেম্বর ২৪, ২০১৩)